নরওয়ের রাজধানীর নাম অসলো। প্রায় ৫৫ লাখ জনসংখ্যার দেশ নরওয়েতে মুসলমানের সংখ্যা লাখ দুইয়ের কাছাকাছি।
বিশ্বব্যাপী ইসলামি ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সেই সঙ্গে হালাল উপার্জন নিশ্চিত করার নিমিত্তে নরওয়েতে বসবাসরত মুসলমানরা নরওয়ের স্টোরব্রান্ড (Storebrand) ব্যাংকের কাছে প্রচলিত ঋণের বদলে সুদমুক্ত ঋণ চালুর আহবান জানায়।
ওই আবেদনে মুসলমানরা বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রেক্ষিতে সাধারণ ব্যাংক থেকে সুদসহ ঋণ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য উভয়পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এর পর স্টোরব্রান্ড ব্যাংক বিভিন্ন সমীক্ষা চালিয়ে এর গুরুত্ব অনুধাবন করে মুসলমানদের আবেদনে সাড়া দেয়। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়।
ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্টোরব্রান্ড ব্যাংক থেকে গৃহ ঋণসহ বিভিন্ন খাতে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে হালাল পদ্ধতি বা ইসলামি বিধান অনুসরণ করা হচ্ছে। আগ্রহীরা এ ব্যবস্থার অধীনে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়া অনুসরণ করে ব্যাংকটি এ ধরনের ঋণ চালু করার পর অনলাইনে সুদমুক্ত ঋণ নিতে আহবান জানিয়েছে ভোক্তাদের।
শুধু মুসলমান নয় যে কেউ ইচ্ছে করলে এ ধরনের হালাল ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। হালাল ঋণ চালুর এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক ব্যক্তি হালালা ঋণের জন্যে আবেদন করেছেন।
স্টোরব্রান্ড এখন হালাল ঋণ নিয়ে বড় ধরনের মূল্যায়নে যাচ্ছে। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে ব্রিটেন ও মালয়েশিয়ায় ইসলামি ব্যাংক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা বোজর্ন এরিক সায়েট্টেম (Bjorn Erik Saettem)।
কিছু দিন আগে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতিতে ইসলামের বিধান প্রতিফলনের ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং বেলজিয়ামের মতো দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমরা মুসলিম দেশের মুসলমানদের থেকে অনেক এগিয়ে। দেশটিতে হালাল ঋণ চালুর প্রেক্ষিতে এর সত্যতা প্রমাণিত হলো।
তবে ইসলামি ঋণ চালুর জন্যে অনেক গ্রাহক এর বিরোধিতা করে ব্যাংকটির সঙ্গে লেনদেনের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
এমএইউ/