ইসলামি বিধানে খতনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এটি ইসলামের মৌলিক নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।
শারীরিকভাবে শক্ত-সামর্থ্যবান হওয়ার পর সুবিধাজনক সময়ে ছেলের খতনা করিয়ে দেওয়া অভিভাবকের দায়িত্ব।
আর কোনো কারণে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে যদি খতনা না করা হয় অথবা বয়স্ক হওয়ার পর কেউ ইসলাম গ্রহণ করে তাহলেও তার খতনা করা জরুরি।
ইবনে শিহাব যুহরি (রহ.) বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন ইসলাম গ্রহণ করতো তখন সে বড় হলেও তাকে খতনা করার আদেশ করা হতো। -আল আদাবুল মুফরাদ
খতনার উত্তম সময়ের ব্যাপারে ইসলামি স্কলাররা বলেন, শিশুর শারীরিক উপযুক্ততা ও তার বালেগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে পৌঁছার আগেই বা এর মাঝামাঝি সময়ে যেমন- ৭-১০ বছর বা অনুর্ধ্ব ১২ বছরের মধ্যে করে নেওয়া উত্তম।
আর খতনা উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের নজির বা রীতির প্রমাণ নেই। বর্তমানে খতনা উপলক্ষে যে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের রেওয়াজ শুরু হয়েছে তা অবশ্যই বর্জনীয়। এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমিত ইসলাম দেয় না। এ ছাড়া ওই অনুষ্ঠানে গান-বাদ্য ইত্যাদি শরিয়তবিরোধী কিছু থাকলে তা সম্পূর্ণ নাজায়েয।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
এমএইউ/