প্রখ্যাত বুজুর্গ আলেম আল্লামা নূর উদ্দিন আহমদ গহরপুরী রহ. প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটির ৬০ বছর পদার্পণ উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মেলনে জামিয়ার প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন স্মারক হিসেবে পাগড়ি ও এরাবিয়ান আবা গ্রহণ করবেন।
কওমি গ্র্যাজুয়েশনে দেশের শীর্ষ আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদ ছাড়াও বিশ্বের কয়েকটি দেশের ইসলামিক স্কলাররা যোগ দেবেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও থাকবেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শুরু হয়ে পরদিন সকাল পর্যন্ত চলবে ধারাবাহিক অনুষ্ঠান। কয়েক পর্বের এই অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি মেহমানরা মূল্যবান বয়ান পেশ করবেন।
গহরপুর জামিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু জানান, সম্মেলনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের আসার প্রক্রিয়াও শেষ পর্যায়ে। বৃহত্তর সিলেট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন সম্মেলনে যোগদান করবেন। সব মিলিয়ে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শায়খুল হাদিস আল্লামা হাফেজ নূর উদ্দিন আহমদ গহরপুরী রহ. ছিলেন কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের আমৃত্যু সভাপতি। দেশের প্রভাবশালী বুজুর্গ এই আলেম সারা দেশের ইসলামি অঙ্গনে অভিভাবক হিসেবে গণ্য হতেন। ১৯৫৭ সালে তিনি নিজ গ্রাম বালাগঞ্জের গহরপুরে বিখ্যাত এই দীনি প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসেন।
প্রতি বছর এই জামিয়া থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা সম্পন্ন করে ‘মাওলানা’ ডিগ্রি লাভ করেন। প্রতি ১০ বছর পরপর সম্মেলনের মাধ্যমে এই জামিয়া থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করা আলেমদের সম্মাননা স্মারক পাগড়ি প্রদান করা হয়। এর আগে ২০০৭ সালে ১০ সালা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার মাদরাসার ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ষষ্ঠ পাগড়ি প্রদান সম্মেলন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
এমএইউ/