ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে তাবলিগ জামাতের তিন দিনের এ ইস্তেমায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এই প্রথম বড় ধরনের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খুলনায়।
মুসল্লিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, আনসার, ডিজিএফআই, এনএসআই, সিটিএসবিসহ সব গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, আমাদের সৌভাগ্য খুলনায় এত মুসল্লিদের নিয়ে তাবলিগ জামাতের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটি যেনো টঙ্গীর আকার নেয় সেজন্যে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। ইজতেমা নির্বিঘ্ন করতে ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল সার্জন, খুলনা সিটি করপোরেশন, পিডব্লিউডি, পিডিবিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
ছয় লাখ বর্গফুট এলাকার চারপাশে ৫১৬টি শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিরা যাতে ভালোভাবে বয়ান শুনতে পারেন সেজন্যে সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ঢাকা থেকে আসা একটি এবং স্থানীয় একাধিক মেডিকেল টিম থাকবে, জানান ইজতেমার সমন্বয়কারী কাজী মো. তারেক।
তিনি বলেন, সুদান, ইউকে, থাইল্যান্ড, চীন, কাতার, মালয়েশিয়া, কানাডা, মরক্কোসহ ১৬টি দেশ থেকে আসা মেহমান উপস্থিত থেকে বয়ান করবেন। বিশেষ ব্যবস্থায় মুসল্লিদের খাবারের জন্য কাঁচা বাজার ইজতেমার পাশে রাখা হয়েছে। সেখানে দোকানও বসানো হবে। যাতে করে মুসল্লিরা প্রয়োজনীয় সব কিছু সহজেই কিনতে পারেন।
এদিকে বিশ্বরোডের পাশে হওয়ায় তিন দিন ভারী যান চলাচল সীমিত করা হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম।
তিনি বলেন, মুসল্লিদের চলাচলে যেনো কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্যে বিকল্প পথে ভারী যান চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যে কোনো প্রয়োজনে ডিসি কন্ট্রোল রুমে (০৪১-৭২০৪৫৭ ও ০১৭৭৮-৩৭৭৫৭৭) এবং কেএমপি কন্ট্রোল রুমে (০১৫৫৮-৩২৮০০ ও ০১৫৫০-১৫০০৯৯) যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়া বিশেষ প্রয়োজনে কেএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনারের (সিটিএসবি) সঙ্গে যোগাযোগ (০১৭১৩-৩৭৩২৯০) করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৬
এমআরএম/এটি