পবিত্র কোরআনে অজু সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধোবে, মাথা মাসেহ করবে ও পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে। ’ -সূরা মায়িদা: ৬
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত।
অজু নামাজের অপরিহার্য বিষয় বা পূর্ব শর্ত। হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, বেহেশতের চাবি হলো নামাজ, আর নামাজের চাবি হলো- অজু। -মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিজি
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তির অজু নেই সে অজু করে না নিলে (ও বিনা অজুতে নামাজ পড়লে) তার নামাজ কবুল হবে না। -সহিহ বোখারি: ১৩৫, সহিহ মুসলিম: ২২৫
যে সব ইবাদতের অজু ফরজ: ১. ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত এবং নফল সব ধরনের নামাজের জন্য অজু করা ফরজ। ২. জানাজার নামাজের জন্যে অজু ফরজ এবং ৩. কোরআন শরিফে অবস্থিত সেজদার আয়াত তেলাওয়াতের ওই সেজদা প্রদানের জন্য অজু করা ফরজ।
যে সব ইবাদতের জন্য অজু ওয়াজিব: ১. হজ বা ওমরার সময় পবিত্র কাবা ঘর তওয়াফের জন্যে ও ২. পবিত্র কোরআন স্পর্শ করার জন্যে।
যখন অজু সুন্নত: ১. ঘুমানোর পূর্বে এবং ২. গোসলের পূর্বে।
অজু যখন মুস্তাহাব: ১. আজান ও তাকবিরের জন্যে। ২. খুতবা পড়ার সময়। চাই ওই খুতবা জুমার হোক বা বিয়ের। ৩. দ্বীনি তালিম দেওয়ার সময়। ৪. জিকিরের সময়। ৫. ঘুম থেকে ওঠার পর। ৬. মৃত ব্যক্তির গোসল করানোর পর। ৭. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের সময়। ৮. হজ চলাকালে আরাফার ময়দানে অবস্থানের সময়। ৯. হজে সাফা ও মারওয়া সাঈ করার সময়। ১০. নাপাক অবস্থায় খাওয়ার পূর্বে। ১১. হায়েজ-নেফাসের সময়ে প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তে। ১২. এ ছাড়া সবসময় অজু অবস্থায় থাকা মুস্তাহাব।
লেখক: ইমাম ও মুহাদ্দিস
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমএইউ/