তিরমিজি শরিফে বর্ণিত এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতা উভয়কেই অভিসম্পাত করেছেন। আর আবু দাউদ ও তিরমিজির আরেক হাদিসে ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতার মধ্যে মধ্যস্থতাকারীকেও অভিসম্পাতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে জাতির মধ্যে ব্যভিচার সাধারণভাবে ছড়িয়ে পড়ে তারা দুর্ভিক্ষে নিপতিত হয়, আর যে জাতির মধ্যে ঘুষের লেনদেন ব্যাপক আকার ধারণ করে তারা ভয়ভীতি ও সন্ত্রাসের শিকার হয়। -মুসনাদে আহমাদ
দেশের অনেক অফিসে ঘুষ আদান-প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। এসব দফতরে যারা বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত তারা তাদের শ্রমের জন্য বেতন পান। কিন্তু তার পরও তারা সাধারণ মানুষকে তাদের প্রাপ্য সেবা দিতে কার্পণ্য করেন। কোনো কাজে তাদের কাছে গেলে বাড়তি অর্থ দাবি করেন। এটি শুধু অন্যায় নয়- ধর্মীয় দৃষ্টিতে কবিরা গোনাহ।
তার পরও অনেকেই প্রশ্ন করেন, পকেটে টাকা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ঘুষের অনাচার থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যা বলা যাবে কিনা?
এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- নিজের ওপর থেকে কোনো ধরনের অবিচার কিংবা দূর করার জন্য যদি সরাসরি মিথ্যা বলা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা না থাকে; তাহলে মিথ্যা বলা জায়েজ আছে।
তবে সর্বাগ্রে প্রথমে চেষ্টা করতে হবে, যেন সরাসরি মিথ্যা বলতে না হয়। যদি সক্ষম না হয়- তাহলে মিথ্যা বলা জায়েজ আছে জুলুমের হাত থেকে রক্ষা পেতে।
আর ঘুষের লেনদেনের ক্ষেত্রে অহেতুক অর্থ জরিমানা জুলুমের অংশ বিশেষ। তাই প্রয়োজনে এখানেও মিথ্যা বলার সুযোগ আছে। কিন্তু টাকার পরিমাণ যদি খুব সামান্য হয়। আর এটা দিতে বেশি বেগ পোহাতে না হয়- তাহলে মিথ্যা না বলাই শ্রেয়। আল্লাহতায়ালা সবার মনের খবর রাখেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এমএইউ/