এমন আমল জায়েজ আছে। যদিও ৭০ হাজার বার কালেমার খতমের কথা সরাসরি কোরঅান-হাদিসের কোথাও বলা নেই।
ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো, মৃতের ঈসালে সওয়াবের জন্য হাদিসে নির্দেশিত আমলগুলো করা। এরূপ একটি আমলের কথা হাদিসে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, হজরত মাকিল বিন ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের মৃতদের উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসিন পড়ো। -সুনানে আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ
ঈসালে সওয়াব আরবি শব্দ। ঈসাল মানে পৌঁছানো, আর সওয়াব মানে সওয়াব বা পূণ্য। প্রচলিত অর্থে ঈসালে সওয়াব বলা হয়- মৃত ব্যক্তির জন্য দুনিয়ায় কোনো আমল করে সওয়াব পৌঁছানোকে।
ঈসালে সওয়াব কোরআন-হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। যেমন কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম। ’ -সূরা কাহাফ: ৪৬
আয়াতে বর্ণিত স্থায়ী সৎকর্মের ব্যাখ্যায় হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন তার নেক আমল করার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়; তবে তিনটি পথ ছাড়া। একটি হলো- সদকায়ে জারিয়া, দ্বিতীয় হলো- যে ইলম দ্বারা মানুষ উপকার পায় এবং তৃতীয় হলো- নেক সন্তানের দোয়া। -সহিহ মুসলিম: ১৬৩১
আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ঈদুল আজহায় নামাজে শরিক ছিলাম। যখন খুতবা শেষ হলো তিনি মিম্বর থেকে নামলেন। তারপর তার কাছে একটি ভেড়া আনা হলো। তিনি তা জবাই করলেন নিজ হাতে। জবাইকালে তিনি বললেন- বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। এটি আমার এবং আমার ওই উম্মতের পক্ষ থেকে যারা কোরবানি করতে পারেনি। -সুনানে আবু দাউদ: ২৮১০
চার মাজহাবের ইমামরাও এ বিষয়ে একমত যে, কোরআনে কারিমের তেলাওয়াতের সওয়াব মৃতের কাছে পৌঁছে। ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে যেসব কাজ করা যায় সেগুলো হলো- মৃতের নামে সদকা, কোরবানি, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া, ইস্তিগফার এবং হজ ইত্যাদিসহ যে কোনো নফল ইবাদত।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এমএইউ/