ইজতেমা উপলক্ষে প্রায় একমাস যাবত প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে পুরোদমে। প্রতিদিন ১৪টি দলে বিভক্ত হয়ে তাবলিগ জামাতের মুসল্লিদের সঙ্গে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মাঠের প্যান্ডেল প্রস্তুতির কাজে অংশ নিচ্ছেন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে খুঁটির ওপর চট টানানো, লোহার খুঁটি, মূল মঞ্চ তৈরি, টয়লেট নির্মাণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ, বালু দিয়ে মাঠ সমান করা ইত্যাদি। মুসল্লিদের উপজেলা নির্ধারণ করার জন্য খুঁটি ও খিত্তা তৈরি করা হচ্ছে। তাশকিলের কামরা, তাঁবু, পানির লাইন, ভেতরের রাস্তা এবং শব্দ যন্ত্র বসানো হচ্ছে পুরো ময়দানজুড়ে।
ইজতেমাকে সফল ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে ময়দান পরিদর্শন করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান ও ফেনী পৌর মেয়র হাজী আলাউদ্দিন।
তাবলিগ জামাতের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য আঞ্চলিক ইজতেমায় প্রায় ৪ লক্ষাধিক বেশি মুসল্লির আগমন ঘটবে ধারণা করছেন তাবলিগ জামাতের ফেনী মারকাজের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিরা।
ইজতেমার জন্য তৈরি করা হচ্ছে সাড়ে ৬ লাখ বর্গফুটের বিশাল প্যান্ডেল। এছাড়া বিদেশি অতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে পৃথক প্যান্ডেল। ইজতেমায় ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের প্রায় ৪০ জন বিদেশি মেহমান বয়ান করবেন বলে জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের এক দায়িত্বশীল।
ইজতেমার মাঠে মুসুল্লিদের ব্যবহারের পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে ফেনী পৌরসভার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুরো ইজতেমার ময়দান ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেবেন। মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স।
ইজতেমায় উপলক্ষে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বসানো হচ্ছে ১শ অস্থায়ী টিউবওয়েল, তৈরি করা হচ্ছে ১ হাজার টয়লেট।
উল্লেখ্য, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পরে ২০১৬ সালে এ নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়। নতুন নিয়মে প্রতি বছর দেশের ৩২টি জেলার মুসল্লিদের নিয়ে টঙ্গীর ইজতেমা অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ৩২টি জেলায় আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ফেনীতে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
১৮ ফেব্রুয়ারী আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই ইজতেমা।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এমএইউ/