নামাজের আগেই ইজতেমার পুরো প্যান্ডেল ও ময়দান কানায় কানায় ভরে গেছে। প্যান্ডেলের নিচে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা মহাসড়কসহ আশপাশের সড়কের ওপর অবস্থান নিয়েছেন।
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার পর দেশের ভিতরে খুলনায় প্রথম জেলা ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। এতে ২৫টি দেশের প্রায় ৫ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে বলে আয়োজক কমিটি আশাবাদী।
ইজতেমার সমন্বয়কারী কাজী মো. তারেক জানান, শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমা।
এদিকে ইজতেমা ময়দান এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চারপাশ ও বাইরের এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ও র্যাব আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। র্যাবের দু’টি টহল গাড়ি ও ময়দানে দু’টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করছে।
৬ জন অফিসার, ৮ জন সাদা পোশাকে গোয়েন্দা ও ৪০ জন সশস্ত্র সদস্য আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত রয়েছেন।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাহিদ হোসেন মনিটরিং করছেন। প্রবেশদ্বারের পাশেই র্যাবের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। কেএমপির পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে দু’টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। ৫৪টি সিসি ক্যামেরা ও দু’টি ওয়াচটাওয়ার রয়েছে। সাদা পোশাকে ও পোশাকে ২ হাজার পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।
এরই মধ্যে লাখো মুসল্লি সেখানে সমবেত হয়েছেন। বিভিন্ন জেলার যুবক, কিশোর, বয়োজ্যেষ্ঠ সব শ্রেণীর মানুষ ইজতেমায় এসেছেন।
আয়োজকরা মনে করছেন, ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুমার নামাজ খুলনায় এ যাবতকালের বৃহত্তম জুমার জামাত।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এমআরএম/এএ