ইসলামের সচেতনতা সপ্তাহে তারা অনেকগুলো ইভেন্টের আয়োজন করেছে। এর একটি হলো- হিজাব।
এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বায়োমেডিকেল সায়েন্সের প্রধান মোনাজাহ বাগদাদি এ প্রসঙ্গে অন ইসলামকে জানান, আমাদের পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- মানুষকে এ কথা বোঝানো যে, মুসলিম মেয়েরা মাথায় যে স্কার্ফ বা হিজাব পরিধান করে তা কখনোই নিপীড়নের প্রতীক নয়। বরং এটি নারীবাদের একটি প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, হিজাব পরা মুসলিম নারীদের জন্য একটি ঐচ্ছিক বিষয় বলে কিছু অমুসলিম মনে করেন। কিন্তু এটি ইসলামের মূল বিশ্বাসের পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত বাগদাদি বলেন, এই হিজাবের পেছনে মূলত লুকিয়ে আছে সাহসের বিষয়টি এবং আমাদের কর্মসূচিতে সেটিই দেখানো হবে। প্রত্যেক দিন সকালে একটি মেয়ে যখন ঘুম থেকে জেগে উঠে তার হিজাব পরিধান করেন তখন তিনি এর মাধ্যমে নিজের ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। মার্কিন সমাজে হিজাবের বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এটি আসলে ইতিবাচক বিষয়।
আমাদের ইভেন্টের মাধ্যমে হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীরা বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তারা তাদের অভিজ্ঞতা মানুষের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এভাবে শিক্ষার্থীরা হিজাব পরা সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। এসোসিয়েশনের ইসলাম সচেতনতা সপ্তাহ ১০ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) জুমার নামাজের পরে শুরু হয়।
শুক্রবার ইসলামের অনুসারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন, মুসলমানদের জন্য সমাবেশের দিন। সপ্তাহব্যাপী এই ইভেন্টের লক্ষ্য হচ্ছে, ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান বৃদ্ধি করা।
সম্প্রতি সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিবাসন নিষেধাজ্ঞার কারণে কারও কারও কাছে ওই কর্মসূচি কৌশলগত বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে বিষয়টি তেমন নয় বলে জানান মোনাজাহ বাগদাদি। তিনি বলেন, আমাদের এই কর্মসূচি নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই আমরা এ রকম কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকি। এর লক্ষ্য আসলে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এমএইউ/