গত সপ্তাহে বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যান লিন্ডের নেতৃত্বে একটি দল ইরান সফর করে। তখন সুইডিশ নারী কর্মকর্তারা হিজাব পরেছিলেন।
তাদের দাবি, এটা তথাকথিত নারীবাদী পররাষ্ট্রনীতির জন্য খুবই খারাপ কাজ।
উল্লেখ্য, সুইডেন সরকারের দাবি, তারাই বিশ্বের প্রথম নারীবাদী সরকার। কারণ, সুইডিশ সরকারে নারীদের সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি।
তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির এই সরকার নিজেকে বিশ্বের প্রথম নারীবাদী সরকার বলে দাবি করে থাকে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিবৃতি ও বক্তব্যেও নীতিগতভাবে সুইডিশ সরকার নিজেকে ‘নারীবাদী’ বলে দাবি করে আসছে। ২০১৪ সালে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টি সরকার গঠন করে।
সমালোচনার প্রেক্ষিতে সুইডিশ বাণিজ্যমন্ত্রী লিন্ডে স্থানীয় এক সংবাদপত্রকে বলেন, তারা ইরানের আইন ভঙ্গ করতে চাননি।
প্রসঙ্গত, ইরানে নারীদের জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সফরে কোনো নারী অতিথি ইরান সফরে এলে তাকে বিমানবন্দরে লম্বা গাউন জাতীয় ইরানে ঐতিহ্যবাহী পোশাক প্রদান করা হয়। তবে সেটা গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক নয়।
গত এপ্রিলে তেহরান সফরের সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ফেডেরিসা মোঘেরিনিও হেডস্কার্ফ পরেছিলেন।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ইরান সফরকালে ইরানের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মানানসই পোশাকে নিজেকে আচ্ছাদিত করেছিলেন। এটা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে বেশ সমালোচনা হয়।
ইরান সফরকালে মাথায় কাপড় ঝুলিয়েছেন অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী জুলি বিশপও।
-বিবিসি অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমএইউ/