ঢাকা, শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

অন্ধ হাফেজের একটি ব্রেইল মেশিন ক্রয়ের জন্য সাহায্যের আবেদন

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
অন্ধ হাফেজের একটি ব্রেইল মেশিন ক্রয়ের জন্য সাহায্যের আবেদন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কোরআনের হাফেজ চাঁন সওদাগর

চোখ নিয়ে জন্ম নেন চাঁন সওদাগর। কিন্তু ৪ বছর বয়সে গুটি বসন্তে তার দুটি চোখের দৃষ্টি হারিয়ে যায়। এলাকায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কোরআনের হাফেজ চাঁন সওদাগরকে কমবেশি সবাই চেনেন।

সেই অন্ধ হাফেজ একটি ব্রেইল মেশিনের অভাবে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চাঁন সওদাগর জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব আমখাওয়া গ্রামের বাসিন্দা।

 

স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তার বাবা মুনছুর আলী পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে নিহত হন। ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষে তার মা মারা যান। পিতামাতা হারিয়ে অন্ধ এতিম শিশু চাঁন সওদাগর দুনিয়াতে অসহায় হয়ে পড়েন। হঠাৎ একদিন এক ইংরেজ মহিলার নজরে পড়েন তিনি। ইংরেজ মহিলা সদয় হন তার প্রতি। তাকে ঢাকায় নিয়ে একটি অন্ধ বিদ্যালয়ে ভর্তি করান। সেখানে তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হন। এর পাশাপাশি তিনি অন্ধ বিদ্যালয়ে ব্রেইল পদ্ধতিতে পুস্তক লেখার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।  

পরবর্তীতে তিনি কিছু হৃদয়বান ব্যক্তির আর্থিক অনুদানের সহযোগিতায় একটি ব্রেইল মেশিন ক্রয় করেন। ওই ব্রেইল দিয়ে তিনি অন্ধদের জন্য কোরআন-হাদিস ও অন্যান্য পাঠ্য বই লিখে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। তার ব্রেইল মেশিনটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে বর্তমানে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়েছে এবং তার আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। বর্তমানে একটি ব্রেইল মেশিন ক্রয় করতে ২৫/৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন।  

তার অন্ধ জীবনে এতগুলো টাকা যোগাড় করা দুঃসাধ্য। তাই তিনি একটি ব্রেইল মেশিন ক্রয়ের জন্য হৃদয়বান দেশবাসীর নিকট মানবিক সাহায্যের আবদেন জানিয়েছেন।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা
বিকাশ নম্বর: ০১৭৬১৫৮৬৭৯১ অথবা ব্যাংক একাউন্ট: অন্ধ হাফেজ চান সওদাগর, প্রযত্নে: শিরিনা বেগম সঞ্চয়ী হিসাব নং: ৬৯৪৯ ইসলামী ব্যাংক লি. জামালপুর শাখা, জামালপুর

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।