মাহের মুহানদেস (Maher Mouhandes) নামের এক ব্যক্তি এই পরিকল্পনা করেছেন এবং নতুন ইমাম নিয়োগ না করা পর্যন্ত তিনি এই মসজিদের ইমামতি করবেন।
নতুন মসজিদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে যে মসজিদটি রয়েছে সেখানে মাত্র ১শ’ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
জার্মানিতে মুসলিম শরণার্থীদের আগমনের ফলে মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে। এ জন্য মসজিদে মুসল্লিদের স্থান হচ্ছে না। তাছাড়া অন্যান্য শহরের মুসলমানরাও নামাজ আদায়ের জন্য এই মসজিদে আসেন। তাই নতুন মসজিদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
মাহের মুহানদেস আরও বলেন, নতুন মসজিদে নারীদের জন্য পৃথক স্থান থাকবে।
মাহের মুহানদেস এক চিকিৎসক। নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার বেশ সুনাম রয়েছে। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে এই এলাকায় বসবাস করছেন। বর্তমানে তার বয়স ৬২।
এই চিকিৎসক আরও বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। এটা একা আদায় করা যায়, তবে মসজিদে মসজিদে যেয়ে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা উত্তম। এ লক্ষেই মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। মসজিদ নির্মার্ণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন, জমি বরাদ্দ থেকে শুরু করে সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে আছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি জুমার দিন মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজের সূচনা করা হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী রমজান মাসের আগেই মসজিদের সংস্কার কাজ শেষ হবে।
মসজিদটি বেশ কয়েকজন দাতার অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া মসজিদ নির্মাণের জন্য যে কোনো ব্যক্তি তার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করতে পারবেন। ইতোমধ্যে অনেকেই মসজিদ নির্মাণে অর্থ দিয়ে আবার কেউ কেউ ভবন নির্মাণের কাজে সাহায্য করার কথা ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, জার্মানির মুসলিম ন্যাশনাল কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে লোয়ার স্যাক্সনি (Saxony) অঞ্চলে ১৮০টি মসজিদ রয়েছে।
-দ্য মুসলিম ইস্যু অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
এমএইউ/