নিয়মমাফিক বিলটি এখন প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের এমন সিদ্ধান্তের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি- বিজেপি।
খবরে প্রকাশ, বিধানসভার ওই বিশেষ অধিবেশনে শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে মুসলিম সংরক্ষণের হার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার বিল পাস হয়। বিলে তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। একই সঙ্গে তেলেঙ্গানা রাজ্যে নতুন এই বিলে সংরক্ষণের হার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬২ শতাংশ করা হয়।
যদিও তেলেঙ্গানার বিরোধী দল বিজেপি তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ কোটার হার বৃদ্ধিতে কোনো আপত্তি তোলেনি; বরং এটাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে মুসলিম সংরক্ষণের হার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করায় তার তীব্র প্রতিবাদে জানায় বিজেপি।
এদিন বিধানসভায় ‘পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, তফসিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণ বিল- ২০১৭’ পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। মুখ্যমন্ত্রী এই বিল পেশ করার পর বিরোধিতা করেন বিজেপির বিধায়করা।
অভিযোগ তোলেন, মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের হার বাড়িয়ে চন্দ্র শেখর রাও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছেন।
এই বিলের প্রতিবাদে বিজেপির বিধায়করা বিধানসভার ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করে বিধানসভার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন। এর পরেই বিধান সভার স্পিকার রাজ্য বিজেপি সভাপতিসহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে এদিনের জন্য বহিষ্কার করেন। পরে অবশিষ্ট বিজেপি সদস্য রামাচন্দ্র রাও ওয়াক আউট করেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও বলেন, ধর্ম বা জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া হয়নি। আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে বেশি করে সংরক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি বলেন, এটা মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। আমরা তা পূরণ করেছি মাত্র।
শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে মুসলমানদের কোটা বৃদ্ধির খবরে উপ-মুখ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ মাহমুদ আলী ও ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালিম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরেই কোটা সংরক্ষনের হার বাড়ানোর দাবী জানিয়ে আসছিল।
-টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এমএইউ/