এই আয়াতের পরের আয়াতগুলোতে ইরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চিতভাবে এটা হচ্ছে মুমিনদের জন্য পথ নির্দেশনা ও রহমত। ’ ‘নিশ্চয় (এভাবে) তোমার রব তাদের মধ্যেও নিজের হুকুমের মাধ্যমে ফায়সালা করে দেবেন, তিনি পরাক্রমশালী ও সব কিছুই জানেন।
বর্ণিত আয়াতে ওইসব ইহুদির কথা বলা হয়েছে, যারা আরব উপদ্বীপে বসবাস করত এবং ইসলাম ধর্ম ও পবিত্র কোরআনকে মেনে নিতে রাজি হয়নি।
হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম ও শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব ছিলো। এছাড়া কিছু ধর্মীয় বিধান নিয়েও তাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিলো। এ বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে আয়াতগুলো আল্লাহতায়ালা বলছেন, তারা যদি কোরআনকে আসমানি গ্রন্থ বলে মেনে নিতো, তাহলে তাদের মধ্যকার বিরোধের অবসান হতো।
এছাড়া, হজরত ঈসা (আ.) এবং হজরত মুসা (আ.)-এর পর ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের মধ্যে যেসব কুসংস্কার ঢুকে পড়েছে সেসবের অবসান ঘটতো। এর ফলে তারা একটি কুসংস্কারমুক্ত ও পরিশুদ্ধ ধর্ম পেতো। কিন্তু তারা তা করেনি।
এরই ধারাবাহিকতায় আল্লাহতায়ালা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ও মুমিনদের উদ্দেশে বলছেন, তোমরা অবশ্যই শত্রুর মোকাবেলায় আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। আল্লাহর অসীম জ্ঞান ও শক্তির ওপর নির্ভর করে তোমাদের পথে তোমরা এগিয়ে যাবে। জেনে রাখো, তোমরা সত্য পথে আছো। আর সত্যই টিকে থাকবে।
উল্লেখিত আয়াতসমূহের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো-
১. পবিত্র কোরআন ঐক্যের প্রতীক। এ মহাগ্রন্থ চিন্তাগত বিরোধ মেটাতেও সক্ষম। শুধুমাত্র মুসলমানরাই নয় অন্য ঐশী গ্রন্থগুলোর অনুসারীরাও কোরআনকে মেনে নিয়ে ও কোরআনের স্মরণাপন্ন হয়ে দ্বন্দ্ব-বিরোধ মেটাতে পারে।
২. হেদায়েত বা সঠিক ও সত্য পথপ্রাপ্তি হলো পরম করুণাময় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য একটি মহা নেয়ামত।
৩. আল্লাহর ওপর নির্ভরতা হচ্ছে মানুষের সফলতার এক অন্যতম প্রধান শর্ত। এ নির্ভরতা হতে হবে ন্যায়ের ক্ষেত্রে। অন্যায়ের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এমএইউ/