বরাবরের মত সেখানে বসেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সেই মিলনমেলা। এখানে মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মানুষ মেতে থাকেন ইবাদত বন্দেগিতে।
সুফি সাধক হযরত শাহ সুলতান মাহিসওয়ার বলখী (রঃ) এর মাজার ও আশপাশের এলাকা দিনের শুরু থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। পুরো এলাকা সিসি টিভির নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
কথিত আছে, পরশুরাম ছিলেন মহাস্থানগড় তথা পুণ্ড্রনগরের অত্যাচারী রাজা। সুফি সাধক হযরত শাহ সুলতান মাহিসওয়ার বলখী (রঃ) তাকে পরাজিত করে জয় করেন ঐতিহাসিক মহাস্থান। খবর শুনে রাজা পরশুরামের একমাত্র বোন শিলা দেবী আত্মবিসর্জন দেন করতোয়া নদীতে। বৈশাখের শেষ বৃহস্পতিবার (১১ মে) হলো সেই দিন।
এরপর থেকে এদিনে পুণ্যলাভের আশায় উভয় ধর্মের মানুষ সমবেত হন মহাস্থানে। সময়ের ব্যবধানে এখানে বসতে থাকে সাধু, সন্ন্যাসীদের মেলা।
সাধু-সন্যাসী ও বাউলরা অবস্থান নেন হযরত বোরহান উদ্দিন(রঃ) মাজার, পশ্চিমপাশের আমবাগান ও উত্তরপাশের আবাসিক এলাকার মাঝে। মাজার সংলগ্ন পশ্চিম পাশের মাঠসহ পুরো মহাস্থান এলাকায় বসে মেলা।
বিভিন্ন স্থানে সামিয়ানা টানিয়ে মারফতি গানের আসর বসান বাউল সাধকরা।
অপরদিকে সুফি সাধক হযরত শাহ সুলতান মাহিসওয়ার বলখীর (রঃ) মাজারে অবস্থান নিয়ে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
মাজার এলাকায় অর্থ ও খাবার পাওয়ার আশায় অগণিত ফকির-মিসকিনও সমবেত হন। তারা অর্থ প্রাপ্তির আশায় সারিগান গেয়ে মাজার প্রাঙ্গণ মুখরিত করে রাখেন।
দিবাগত রাত ৯টার দিকে মহাস্থান মাজার ও মসজিদ কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহেদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রায় ৪২৬ জন পোশাকধারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়। চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
এমবিএইচ/জেডএম