কিন্তু রাত জাগা ইবাদতে বিপত্তি ঘটাচ্ছে পটকার কানঝালাপালা আওয়াজ। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থেমে নেই আতশবাজিও।
নগরীর বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় শিশু-কিশোররা মেতে উঠেছে পটকা ফোটানোতে। এ নিয়ে তারা রীতিমতো বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন শবে বরাতের ইবাদতে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত থেকে মধ্যরাত অবধি নগরীর কলেজ রোড, চরপাড়া, বাঘমারা, আকুয়া, সানকিপাড়া শেষ মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেলো এমন চিত্র।
জানা যায়, দু’দিন আগে মুসলমানদের ভাগ্য রজনী শবে বরাতে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পটকা ফোটানো ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
নির্দেশনায় বলা হয়, আতশবাজি, পটকাবাজি, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দুষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ যদি এটা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে এ নির্দেশনার বিপরীতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সতর্ক থাকলেও পাড়ায় পাড়ায় এশার নামাজের পর থেকে শিশু-কিশোররা দলে দলে পটকা ফোটানো ও আতশবাজি’র মহোৎসব করছে।
মাঝে মধ্যে বয়স্করা মসজিদ থেকে বেরিয়ে ওদের ধমক দিয়ে বিরত রাখলেও খানিক সময় বাদেই আবারো পটকা ফাটিয়ে চলেছে।
নগরীর বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লিরা অভিযোগ করে বলেন, পটকার আওয়াজে ইবাদতে বিঘ্ন ঘটছে। শিশু-কিশোররা কারো বারণ মানছে না।
শহরতলী আকুয়া এলাকায় মসজিদ থেকে খানিক দূরেই আতশবাজি করতে দেখা গেলো একদল শিশু-কিশোরকে। তাদের হাতে পটকা না থাকলেও তারা ফোটাচ্ছিল চুন বোম।
প্লাস্টিকের বোতলে চুন ভরে তাতে পানি দিয়ে মুখ আটকে ফোটানোর অভিনব কায়দার ব্যবহার দেখা গেলো ওদের মাঝে।
বেশ কয়েকজন কিশোর জানায়, শবেবরাতের রাত তাদের কাছে উৎসবেরও। ঈদের আগের রাতে যেভাবে উৎসব চলে এ রাতেও পাড়ার সব সমবয়সীরা মিলে এমন কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে।
এসব বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নগরীর গুরুত্বপুর্ণ সড়কে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মোবাইল পুলিশও গোটা নগরীতে টহল দিচ্ছে। কেউ আতশবাজি বা পটকবাজি করলে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
এমএএএম/জেডএম