অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হলে এর কুপ্রভাব শুধু স্বামী-স্ত্রীর ওপর সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং গোটা পরিবারটিই তছনছ হয়ে যায়, সন্তান-সন্ততির জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ক্ষেত্রবিশেষ এ ঘটনার জের পরিবারের গন্ডি অতিক্রম করে বংশীয় কোন্দলে পরিণত হয় এবং সামাজিক জীবনে এর অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়ে।
সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পেছনে মৌলিক যে কারণগুলো থাকে সেগুলো হলো- স্বামী-স্ত্রী একে অপরের হক যথাযথ আদায় না করা। একজন অন্যজনকে গুরুত্ব না দেওয়া। কথায়-কাজে অযথা দ্বিমত পোষণ করা। একে অন্যের প্রতি আস্থা না রাখা, বিশ্বাস না করা।
আর হাল সময়ে স্বামী-স্ত্রীর আস্থা নষ্টের পেছনে প্রযুক্তির অপব্যবহার অনেকাংশেই দায়ী। এর অন্যতম হলো- মোবাইলে আড়িপাতা।
অনেক স্বামী স্ত্রীর অাবার অনেক স্ত্রী স্বামীর মোবাইলে আড়িপাতেন কিংবা লুকিয়ে জানার চেষ্টা করেন কথাবার্তা। কিন্তু কাজটি একেবারেই বৈধ নয়। এ বিষয়ে ফতোয়াও দিলেন সৌদি আরবের এক মুফতি।
মুফতির দাবী, অনেক স্বামী স্ত্রীর মোবাইল চেক করেন; স্ত্রীও নাছোড়বান্দা। এভাবে স্বামী-স্ত্রীর মোবাইল ফোন চেক করার কারণে পরস্পরের বোঝাপড়া নষ্ট হচ্ছে, আস্থাহীনতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং সংসার ভাঙছে।
তাই সৌদি মুফতি মোবাইল ফোন চেক করার নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত ফতোয়া প্রদান করেন।
ফতোয়া প্রদানকারী ওই মুফতির নাম শায়খ আবদুল্লাহ মুতাল্লাক। তিনি সৌদি আরবের উচ্চতর ধর্মীয় পরিষদের সিনিয়র স্কলার ও রয়্যাল কোর্টের উপদেষ্টা।
তার মতে, মোবাইল ফোনে আড়িপাতা এবং তা চেক করা গোয়েন্দাগিরি শামিল। এটা কারও জন্য বৈধ নয়।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফোন চেক করলে স্বামী কিংবা স্ত্রীর চোখে এমন কিছু পড়তে পারে যা কাম্য নয়। তিনি গোপনে খোঁজ রাখাকে অবৈধ বলেন।
এক টিভি অনুষ্ঠানে শায়খ আবদুল্লাহ বলেন, স্বামী স্ত্রী উভয়ের উচিৎ মন্দ ধারণা থেকে বেঁচে থাকা। কারণ, মন্দ ধারণা শুধু অবিশ্বাসই তৈরি করে। আর ইসলাম সব ধরনের মন্দ ধারণা থেকে মানুষকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেয়।
মুফতির পরামর্শ, স্বামী-স্ত্রীর উচিৎ পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখে দাম্পত্য জীবনকে দৃঢ় করা।
তিনি স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দয়া করে স্বামীর পরীক্ষা নেবেন না। সমাজের ২০ ভাগ তালাকের কারণ স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর মোবাইল ফোন অনুসন্ধান।
-খালিস টাইমস অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
এমএইউ/