দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। ভিয়েতনামের ৬টি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে মুসলমানরাই হচ্ছে সবচেয়ে ছোট জনগোষ্ঠী।
দেশটিতে ভিয়েতনামী ভাষায় পবিত্র কোরআনের অনুবাদ সম্পন্ন ও প্রকাশ করা হয়েছে। অধিকাংশ মুসলমানের নাম আরবিতে রাখা হয়।
পুরো ভিয়েতনামে মসজিদ রয়েছে মাত্র ৭৯টি। যার অধিকাংশই দক্ষিণ ভিয়েতনামে অবস্থিত।
এমতাবস্থায় ভিয়েতনামে উদ্বোধন করা হলো- দেশটির সবচেয়ে বড় মসজিদ। মসজিদটি তুরস্কের একটি সাহায্য সংস্থার উদ্যোগে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে।
তুরস্কের মানবিক ত্রাণ সংস্থা হিউম্যানিটেরিয়ান রিলিফ ফাউন্ডেশন (আইএইচএইচ) ভিয়েতনামের চিয়াওডক শহরের গিয়াং প্রদেশে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।
দ্বিতল এ মসজিদে একসঙ্গে ১২শ’ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
তুর্কি ব্যবসায়ী তালিপ খারম্যান মসজিদ নির্মাণের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করেছেন।
মসজিদে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মানবিক ত্রাণ সংস্থার ডেপুটি গভর্নর হাসান আন্নাকি উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া থেকে প্রায় ১৫ হাজার মুসলমান অংশ নেন।
মুসলিম স্থাপত্যকলাসমৃদ্ধ গম্বুজ ও মিনার এবং চমৎকার কারুকার্য খচিত মসজিদটি খুবই আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন। নকশায় কিছুটা সাদামাটা ধরন হলেও আভিজাত্যপূর্ণ মূল নামাজ কক্ষে প্রবেশ দ্বারগুলো অনেক উঁচু, প্রশস্ত এবং দর্শনীয়। পুরো ভবনটিই সাদা রংয়ে ছাওয়া বেশ মনোহর। মসজিদের গম্বুজ ও মিনারে ব্যবহার করা হয়েছে সোনালী রঙ।
হিউম্যানিটেরিয়ান রিলিফ ফাউন্ডেশন (আইএইচএইচ) ১৯৯৫ সালে তাদর কার্যক্রম শুরু করে। সংস্থাটি গত ২২ বছরে ১১টি দেশে ৩২টি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।
-ডেইলি সাবাহ অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এমএইউ/