প্রাইজ মানি হিসেবে হিসেবে হাফেজ মো. ত্বরিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম ( ৫,৪৯২,৫০০ টাকা), একটি সনদ ও অন্যান্য পুরস্কার।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ২১তম আন্তর্জাতিক ওই কোরআন প্রতিযোগিতায় ১০৩টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) স্থানীয় সময় রাত ১১টায় আল মামজার দুবাইসাংস্কৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
১০ রমজান শুরু হওয়া কোরআন প্রতিযোগিতার বৃহস্পতিবার ছিল সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
আল কোরআন পুরস্কার সংস্থার প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম বু মুলহার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স আহমদ বিন মোহাম্মদ বিনরাশেদ আল মাকতুম। তিনি বিজীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশকনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এস বদিরুজ্জামান, কনস্যুলেটের লেবারকাউন্সিলর এএসএম জাকির হোসেন, আমিরাতের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্নদেশে থেকে আগত অতিথিবৃন্দ।
প্রতিযোগিতায় অন্য বিজয়ীয়া হলেন, যথাক্রমে হুজাইফ সিদ্দিকি (মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র), মাদুর জোবে (গাম্বিয়া), আহমেদ বিন আবদুল আজিজ ইবরাহিমওবাইদা (সৌদি আরব), রশিদ ইবনে আবদুল রহমান আলানি (তিউনিসিয়া),মোহনা আহমেদ (বাহরাইন), মোহাম্মদ হাদি আল-বশির (লিবিয়া), ওমর মাহমুদসায়েদ আলী সৈয়দ আহমেদ রিফাই (কুয়েত), মোহাম আবেকা (মৌরিতানিয়া),এবং মোহাম্মদ ইসমাইল মোহাম্মদ নাগিব তাহা (মিসর)।
কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ২৯ মে ঢাকা ত্যাগ করেন হাফেজ মো.ত্বরিকুল ইসলাম। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেঅনুষ্ঠিত তিনটি বাছাই পরীক্ষায় শতাধিক প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে দুবাইযাওয়ার টিকেট লাভ করেন তিনি।
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার মালিগাঁওয়ের বাসিন্দা হাফেজ ত্বরিকুলইসলামের বাবার নাম মো. আবু বকর সিদ্দীক। মাতা তহুরা বেগম একজনগৃহিণী।
২০০৪ সালের ১ জুন জন্ম নেওয়া হাফেজ ত্বরিকুল নিজ এলাকার শামসুল উলুমইসলামিয়া মাদরাসায় পড়ালেখা শুরু করেন।
এর পর ২০১০ সালে চাঁদপুরের কচুয়ার নুরে মদিনা তাহফিজুল কোরআনমাদরাসায় কোরআন হেফজ করা শুরু করেন।
মাত্র ১ বছরে তিনি কোরআনে কারিম হেফজ করেন। এর পর চলে আসেনঢাকা। ভর্তি হন হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিতযাত্রাবাড়ীস্থ মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায়।
কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এবারই প্রথম বিদেশ যান ত্বরিক। এর আগে ২০১৪ সালে মাছারাঙা টেলিভিশন আয়োজিত রিয়েলিটি শো’তে অংশ নিয়ে ২য় স্থান লাভ করেন তিনি।
প্রতিযোগিতায় কোরআন তেলাওয়াত করে হাফেজ ত্বরিকুল ইসলাম বিচারক ও উপস্থিত দর্শকদের দারুণ প্রশংসা করেন। বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত,নির্ভুল প্রশ্নের উত্তর ও সুন্দর কন্ঠের জন্য তিনি সেরা হিসেবে বিজীয় হন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
** কোরআন প্রতিযোগিতায় দুবাই গেলেন কিশোর হাফেজ ত্বরিকুল
** দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশের হাফেজ
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এমএইউ/