পবিত্র কোরআনের সূরা ক্বদরে মহান আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী, এ লাইলাতুল ক্বদরের মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ এই এক রাতে ইবাদতের সওয়াব হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াবের চেয়েও বেশি।
তাফসিরে উল্লেখ আছে, এক দিন রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এই ভেবে অস্থির হচ্ছিলেন যে, আগের নবী-রাসূলের উম্মতেরা দীর্ঘ হায়াত পেতেন। সেজন্য তারা অনেক বেশি ইবাদত-বন্দেগির সুযোগ পেতেন। কিন্তু শেষ নবীর উম্মতের হায়াত খুবই সীমিত। সেজন্য তাদের পক্ষে উচ্চ মর্যাদা লাভের সুযোগ কম।
তখন মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে সূরা ক্বদর নিয়ে উপস্থিত হন হজরত জিবরাইল (আ.)। এতে শান্ত হন রাসূল (সা.) ও তার সাহাবীরা। জিবরাইল মহান আল্লাহর তরফ থেকে জানিয়ে দেন যে, এ রাতেই পবিত্র কোরআন মজিদ নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহ এ রাতটির মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে বেশি বলে ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ মহিমান্বিত এ রাতে যারা ইবাদত করবে, তারা হাজার মাসের চেয়েও বেশি রাতে ইবাদতের সওয়াব পাবে।
সেজন্য পবিত্র এ রাতে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের পাশাপাশি অতীত জীবনের পাপ মোচনের জন্য মহান রবের দরবারে আকুল আবেদন জানাতে হবে। প্রার্থনা করতে হবে কোরআনকে জীবনের দিশারী হিসেবে মেনে চলার তওফিক দেওয়ার, একইসঙ্গে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
এইচএ/