গাড়িতে নারী যাত্রী দেখে ওই পুলিশ কর্মকর্তা চালকের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার নারী থেকে দূরে থাকা উচিত। ’
কিন্তু চালকের বিপদের বিষয় হলো, সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ।
তিনি ওই কর্মকর্তাকে বলেন, ‘আমি কী করে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করব? আমি তো তাদের যেখানে-সেখানে ছেড়ে যেতে পারি না। ’
এ আলাপে সৌদির রক্ষণশীল নৈতিকতা রক্ষা পুলিশের কর্মকাণ্ড ফুটে ওঠে। ধর্ম পুলিশ হিসেবে খ্যাত তারা এভাবেই যুবকদের নৈতিকতার শিক্ষা দেয় পথে-ঘাটে।
স্থানীয়ভাবে তাদের ‘হায়া’ (hay’ah) নামে ডাকা হয়।
সৌদি বাদশাহর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমান যুবরাজ মনোনীত হওয়ার পর সৌদিতে নৈতিকতা রক্ষা পুলিশকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর প্রতিবেদনে বলা হয়, যুবরাজ হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানের অভিষেকের পর বুধবার সৌদিতে টুইটার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষের ধারণা, এটা নতুন যুগের সূচনা করবে।
গত বছর রাস্তাঘাটে লোকজনকে হয়রানির বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে নৈতিকতা রক্ষা ধর্ম পুলিশের কাছ থেকে পথচারীদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু রক্ষণশীল সৌদি আরবের প্রবীণ বাসিন্দাদের চাওয়ার প্রেক্ষিতে ধর্ম পুলিশ আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মোহাম্মদ বিন সালমান মনে করছেন, বেকারত্ব ঘোচাতে নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। সৌদির কিছু নাগরিকও চান, এই পুলিশ ফিরে আসুক। তাদের ধারণা, এই পুলিশ সদস্যদের তুলে দেওয়ার পর অনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে।
মোহাম্মদ আল সুবাই (২৭) নামের এক সৌদি নাগরিক বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষ চান, ধর্ম পুলিশ ফিরে আসুক। এখানে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে। ’
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৭
এমএইউ/