দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক সংবাদে বলা হয়েছে, হজ পালন করতে আকাশপথে যে খরচ হয়, সমুদ্রপথে জাহাজে করে মুম্বাই থেকে জেদ্দায় গেলে তার অর্ধেকের কম খরচ হবে।
২০১২ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ২০২২ সালের মধ্যে বিমানে যাতায়াতকারী হজযাত্রীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভর্তুকি বিলুপ্ত করার কথা বিবেচনা করছে।
মুম্বাই, কলকাতা ও কোচি সমুদ্র বন্দর ছাড়া অন্য দুই উপকূলীয় শহর থেকে জাহাজ চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ও এটিকে অনুমোদন দিয়েছে এবং সৌদি আরব একে স্বাগত জানিয়েছে। ফলে আকাশ পথে হজ পালনকারীদের পূর্বের ২ লাখ রুপি খরচের বিপরীতে নৌপথে এ ব্যয় কমে ৬০ হাজার রুপিতে নেমে আসবে।
১৯৯৫ সালে সর্বশেষ সমুদ্রপথে হজে যায় ভারতের মুসলমানরা। এর পর ২ যুগ পেরিয়ে গেছে। সব কিছু ঠিক থাকে ২০১৮ সাল থেকে সমুদ্রপথে ভারতের হজ রুট পুনরায় চালু হবে।
ইতিমধ্যে নতুন হজনীতির অংশ হিসেবে ১৫টি বিশ্বমানের জাহাজ আনার প্রক্রিয়াও শেষ করে ফেলেছে মোদী সরকার। প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী পরিবহণে সক্ষম এসব জাহাজ ভারত থেকে সরাসরি সৌদি আরবের জেদ্দায় যাতায়াত করবে।
সম্প্রতি দেশটির সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি এক অনুষ্ঠানে বলেন, তার মন্ত্রণালয় এ নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
মুম্বাইয়ের হজ হাউজে হজ প্রশিক্ষকদের ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ২০১২ আদেশ অনুযায়ী ২০১৮ সালের হজনীতিতে সংস্কার আনতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিই হজে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য সাগরপথকে পুনরায় উদ্ধারের কাজ করছে।
নাকভি আরও জানান, এখন সাগরপথে চলমান জাহাজ আরও আধুনিক হয়েছে। একবারের যাত্রায় এক জাহাজে করে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার যাত্রী নেওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালের আগে হাজিদের জন্য যেসব জাহাজ ব্যবহার হতো, তাতে জেদ্দায় পৌঁছাতে তাদের ১২-১৫ দিন সময় লাগতো। বর্তমানের অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন জাহাজে এই পথ যেতে মাত্র ২-৩ দিন লাগবে।
ভারতীয় হজযাত্রী পরিবহনের জন্য একমাত্র জাহাজ ‘এমভি আকবরি’র সেবা ১৯৯৫ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে সময় মুম্বাই থেকে জেদ্দা যেতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতো।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৭
এমএইউ/