ইউনেস্কোর এ সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছে অনেকে। ইসরাইলের দখলদারিত্ব ও বসতি স্থাপনে এটি একটি আঘাত।
বৃহস্পতিবারের ভোটাভুটিতে হেবরনকে এ মর্যাদা না দেওয়ার পক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৩টি। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ৬ জন।
হেবরনে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। অপরপক্ষে সেখানে জোর করে বেশকিছু ইহুদি বসতি স্থাপন করা হয়েছে। এখনও সেখানে ইসরাইলের দখলদারিত্ব ও বসতি স্থাপন অব্যাহত রয়েছে।
ইসলাম ধর্মমতে হেবরন নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর নির্মিত ঐতিহ্যবাহী মসজিদের শহর। আর ইহুদি ধর্ম অনুযায়ী শহরটি তাদের আদি পুরুষদের সমাধিস্থল।
হেবরনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল। এ শহরে ইসরাইলের অব্যাহত দখলদারিত্বরোধে তারা এ দাবি জানায়।
হেবরন খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার বছর আগের শহর। যা বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন শহর বলে দাবি করেন ঐতিহাসিকরা।
এ দিকে হেবরনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণায় দারুণভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছে ইসরাইল। ইউনেস্কোর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইলের শিক্ষা মন্ত্রী নাফটালি বেনেট বলেন, ইউনেস্কোকে তার দেশের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের এক চুক্তির অধীনে হেবরনকে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। চুক্তির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইসরাইল শহরটির ৮০ শতাংশ এলাকা থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করে।
তবে, শহরের পুরোনো অংশ এবং টম্ব অব দ্য প্যাট্রিয়ার্ক ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে।
ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ করে আসছে, ইসরাইল সেখানে আন্তর্জাতিক আইন এবং রীতিনীতি লংঘন করে বিভিন্ন ঐতিহ্য ধ্বংস করছে, বাড়িঘরের ক্ষতি করছে। তারা এই শহরের ইসলামি ঐতিহ্যও ধ্বংস করে ফেলতে চাইছে।
টম্ব অব দ্য প্যাট্রিয়ার্ক এখন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি তারা প্রতি বছর পর্যালোচনা করবে এবং এটি সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৭
এমএইউ/