৯ বছর বয়সী ওই ফিলিস্তিনি শিশুর নাম ইবরাহিম। তিনি গাজার নাসির ক্যাম্পে থাকেন।
প্রচণ্ড মেধাসম্পন্ন ওই শিশুর চাচা মাযান কাবাজি তার হাফেজ হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, সে অসুস্থ; কিন্তু চুপচাপ থাকে। তাই তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য দিনের অধিকাংশ সময় কোরআন তেলাওয়াত চালু করে কম্পিউটার কিংবা টেলিভিশন সেটের সামনে বসিয়ে রাখা হতো। এভাবেই দিন চলতে থাকে।
পরে দেখা যায়, ইবরাহিম নিজে নিজেই পবিত্র কোরআনের আয়াত শোনার জন্য টেলিভিশন চালু করতে পারে। এমনকি সে পবিত্র কোরআনের যেসব আয়াত শুনত এবং টেলিভিশনে যেসব আয়াত দেখানো হতো, সেগুলো সে অতি মনোযোগ সহকারে দেখত।
এভাবে কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি, ইবরাহিমের অনেক আয়াত মুখস্থ হয়ে গেছে। পরে নানাভাবে প্রশ্ন করে ও একের পর এক আয়াত জিজ্ঞেস করে আমরা নিশ্চিত হই যে, ইবরাহিমের সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ হয়ে গেছে।
মাযান কাবাজি আরও বলেন, বিষয়টি আরেকটু নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা ক্যাম্পের ইমাম সাহেবকে জানাই।
তিনি ইবরাহিমকে নানাভাবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন তার কোরআন মুখস্থ হওয়ার বিষয়ে।
ইবরাহিম শুনে কিংবা পর্দায় দেখে কোরআন মুখস্থ করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সূরার তাফসিরও মুখস্থ করেছে। এমনকি আরবি বিভিন্ন বই থেকে সে কোরআনের আয়াতগুলো আলাদা করতে পারে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
এমএইউ/