গ্রাহকদের চাহিদা ও প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে রাশিয়ার প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো এসব হালাল অ্যাপ দিন দিন আরও আধুনিক করে গ্রাহকদের কাছে পেশ করছে।
এসব অ্যাপের সাহায্যে ব্যবহারকারী নিকটস্থ মসজিদ, ইসলামি ব্যাংক, হালাল খাবারের রেস্টুরেন্ট ও ইসলামি সাহিত্য, কোরআনের তাফসির, ইসলামি বয়ান ও ইসলামি বিধি-বিধান সংক্রান্ত নানা বিষয়ে জানার সুযোগ পাচ্ছেন।
রাশিয়ার প্রযুক্তি ব্যবসায়ী আয়রাত কাসিমভ ২০১১ সালে সর্বপ্রথম হালাল অ্যাপ উন্মোচন করেন।
কাশিমভ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘হালাল গাইড’ নামের অ্যাপটির মাধ্যমে এর ব্যবহারকারীরা হালাল খাবারের অর্ডার ও মসজিদে দানের মতো দাতব্য কার্যক্রমেও অংশ নিতে পারেন।
এ ছাড়া শরিয়াবান্ধব চাকরির খোঁজখবর পেতেও সহায়তা করবে অ্যাপটি।
‘হালাল গাইড’ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়করা অ্যাপস থেকে আসা অর্থ ‘হালাল ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যবহার করবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাজারে অ্যাপটি প্রকাশের পর থাইল্যান্ড, লন্ডন, কানাডা, কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান ও আজারবাইজানেও তা সম্প্রসারিত হয়।
অ্যাপটি বাজারে আসার পর থেকে প্রতিদিনই ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে দৈনিক ৮০০ জন হালাল অ্যাপসের নতুন ব্যবহারকারীর তালিকায় নাম লেখাচ্ছে।
‘মাইরেজ’ নামে রাশিয়ায় আরেকটি মুসলিমবান্ধব অ্যাপ রয়েছে। এ অ্যাপটি হজ ও ওমরার প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক।
এ ছাড়া ‘মাই ডয়াসপোরা’ অ্যাপসের মাধ্যমে একজন মুসলিম তার জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে পারেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
এমএইউ/