রোববার (১৬ জুলাই) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে মসজিদ খুলে দেয় পুলিশ। খবর আল জাজিরার।
আল আকসা মসজিদ খুলে দেওয়ার পর কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি মুসলমান ‘আল্লাহ আকবর’ ধ্বনি দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে।
তবে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য সেখানে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে শনিবার বলেন, আল আকসায় মেটাল ডিটেক্টর বসাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আর মসজিদ রোববার খুলে দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার আল আকসা মসজিদ এলাকায় পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়।
গোলাগুলির ঘটনার পর ইসরাইলের পুলিশ আল আকসা মসজিদ বন্ধ করে দেয়। সেদিন জুমার নামাজও আদার করতে দেওয়া হয়নি।
ইসরাইলের পুলিশের দাবি, নিহত তিনজন গুলি ছুঁড়ে তিন ব্যক্তিকে আহত করে পালানোর সময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে তারা নিহত হয়।
এ ঘটনায় জেরুজালেমের শীর্ষ মুসলিম নেতা শেখ মুহাম্মদ আহমেদ হুসেইনকে আটক করা হয়। তিনি কুদসের গ্র্যান্ড মুফতি।
তিনি এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানান এবং মসজিদুল আকসার উত্তরে অবস্থিত ‘বাব আল-আসবাত’-এ জুমার নামাজ পরিচালনা করেন। এর পর ইসরাইলি পুলিশ তাকে আটক করে, পরে তাকে ২ হাজার ৮শ’ মার্কিন ডলার মুচলেকায় জামিন দেওয়া হয়।
হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী পবিত্র আল আকসা মসজিদ মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। ইহুদি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান।
গোলাগুলির ঘটনার পর নিরাপত্তার অজুহাতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ৫০ বছর পর প্রথমবারের মতো জুমার নামাজ বাতিল করে।
১৯৬৭ সালে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং ১৯৬৯ সালের আগস্টে মাইকেল রোহান নামক অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিক মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলে প্রথমবারের মতো আল আকসা মসজিদে মুসলমানদের জুমার নামাজ আদায় করতে দেওয়া হয়নি।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এমএইউ/