যথাযথভাবে হজব্রত আদায়কারীকে দেওয়া হয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ।
আল্লাহতায়ালা হুকুম হজ পালনের নিমিত্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আকাশপথ, স্থলপথ ও নৌপথে হজপালনকারী এখন মক্কা অভিমুখে।
ইতিমধ্যে অনেকেই মক্কা যেয়ে পৌঁছেছেন, অন্যরাও ২৮ আগস্টের মধ্যে মক্কা পৌঁছবেন।
এরই ধারাবাহিকতায় হজ পালনের জন্য শুক্রবার (১১ আগস্ট) সুদান থেকে ৪৮০ জন হজযাত্রী নিয়ে নৌপথে প্রথম জাহাজ ‘মাওয়াদ্দাহ’ জেদ্দা (ইসলামিক পোর্টে) নৌবন্দরে পৌছেছে। খবর সৌদি গেজেটের।
জেদ্দা সমুদ্র বন্দরটি দীর্ঘদিন ধরে হজযাত্রীদের জন্য অনেক প্রাচীনতম বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখনও হজযাত্রীদের জন্য চালু রয়েছে জেদ্দা নৌবন্দরটি।
যদিও আকাশ পথে স্বল্প সময়ের ভ্রমণের কারণে নৌপথে হজযাত্রীদের যাতায়াত ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। তার পরও হাজার হাজার হজযাত্রী এখনও নৌপথ ব্যবহার করে হজ পালনের জন্য সৌদি আগমন করে থাকেন। সুদান ওইসব দেশের একটি।
জেদ্দার বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর হজযাত্রীদের জন্য তৃতীয় বৃহত্তম প্রবেশ পথ হলো- জেদ্দার ইসলামিক নৌবন্দর।
শুক্রবার সুদান থেকে ৪৮০ হজযাত্রী বহনকারী জাহাজ ‘মাওয়াদ্দাহ’ জেদ্দায় পৌঁছলে সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মারওয়ান সুলাইমানি এবং সুদানের রাষ্ট্রদূত আওয়াদ হুসেইন জারুক হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।
জেদ্দা নৌবন্দরের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল জালিলি জানান, ‘এ বছর নৌপথে সুদান থেকে ৩০টি জাহাজের মাধ্যমে ১৮ হাজার হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আসবেন।
নৌবন্দরেও হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মী নিয়োগ করেছে। হজযাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌবন্দরে পাসপোর্ট, বন্দরসেবাসহ অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপক বাহিনী নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যবস্থা রয়েছে।
সুদানের সুকিন নৌবন্দর থেকে এই হজযাত্রীরা জাহাজে করে জেদ্দা নৌবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
এক সময় সুকিন বন্দরটি পূর্ব আফ্রিকার প্রধান নৌবন্দর ছিলো।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এমএইউ/