ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

সিরীয় যুবকদের হজের অনুমতি মেলে না!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
সিরীয় যুবকদের হজের অনুমতি মেলে না! ২০১৬ সালে আরাফাতের ময়দানে সিরীয় হজযাত্রীদের একাংশ

হজ পালনে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় সিরিয়ার হজপালনকারীদের। দেশটির যুবকরা হজপালনের অনুমতি পান না বলেই চলে। তবে মাহরাম নারী সঙ্গে থাকলে অনুমতি মেলে।

নিজ দেশ থেকে এমন বিধি-নিষেধ শেষে রওয়ানার পর যাত্রাপথেও সইতে হয় অনেক ঝক্কি-ঝামেলা। শুধু সিরিয়া থেকে সৌদি আরব যেতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায় তাদের এমন অনাহুত বিড়ম্বনার কারণে।

 

সিরীয়দে হজপালনের জন্য প্রথমে স্থলপথে পার হতে হয় সিরিয়া সীমান্ত। সীমান্ত পার হয়ে উঠতে হয় লেবানন বা তুরস্কে। সেখান থেকে বিমানযোগে সৌদি আরব।

সীমান্ত পার হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি ঘাটে কঠোর তল্লাশির শিকার হতে হয় তাদের। প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ নেই। হজ করতে হলে নীরবে সহ্য করতে হবে এমন বিড়ম্বনা ও অপমান।  

গত বছরের তুলনায় এ বছর হজযাত্রীদের নিয়ম-কানুন আরও কঠোর করা হয়েছে। প্রতি বছর এ ধারা একটু একটু করে বাড়ছে। ভিসা নেওয়ার ঝক্কি-ঝামেলাতেই হজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন অনেকে।

এর পরও সিরিয়ার প্রথম হজ কাফেলা মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সৌদি আরব পৌঁছেছে। এভাবে শত বিড়ম্বনা সত্ত্বেও প্রতিদিনই দলে দলে যাচ্ছেন আল্লাহ প্রেমিকদের কাফেলা।  

সিরিয়ার ইদলিবের বাসিন্দা আম্মার। বয়স ৪১ বছর। এ বছর তিনি হজ পালন করতে এসেছেন মা’কে নিয়ে। তুরস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের অপেক্ষায় বসে থাকার সময় ‘আল আরাবি আল জাদিদ’র সাংবাদিকের সঙ্গে কথা হয় তার।  

তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্লাইটের অপেক্ষা করছি। আমাদেরকে বেশ কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে হজে যেতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হন তারা, যারা বিরোধী জোটের পাসপোর্ট ধারণ করেন। তাদের পাসপোর্টগুলোকে সিরীয় কর্তৃপক্ষ জাল মনে করে। ’

তুরস্কের ‘আল হাওয়া’ ক্রসিংয়ে এমন অনেকের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। চলতি হজ মৌসুমে ‘আল হাওয়া’ ক্রসিং দিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার হজযাত্রী সৌদি যাবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে সিরিয়ার হজযাত্রীদের কয়েকটি দলে ভাগ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক কাফেলায় রয়েছে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জিম্মাদার।

সিরিয়ায় হজযাত্রীদের হজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য রয়েছে একটি শক্তিশালী কমিটি। ‘লাজনাতুল হজ’ নামে পরিচিত এই কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পরই হজের অন্যান্য প্রস্তুতি শুরু হয়।

সাধারণত এপ্রিল মাস থেকে হজের আবেদন নিয়ে ভিড় জমান হজপালনে ইচ্ছুকরা। পরে হজযাত্রীদের বয়স ও বিভিন্ন দিক থেকে শঙ্কামুক্ত হলেই পাওয়া যায় হজের অনুমোদন। যুবকদের চেয়ে বৃদ্ধরাই বেশি অনুমোদন পেয়ে থাকেন। কারণ তাদের ব্যাপারে সরকারের শঙ্কা কম।  

-আল আরাবি আল জাদিদ অবলম্বেনে

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।