তবে নারীর হজ পালনের ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু নিয়ম-শৃঙ্খলা রয়েছে। ইসলামী শরিয়তের বিধানমতে, নারী একা হজ পালন করতে পারবেন না।
হজ একটি ফরজ ইবাদত। আর সে কারণে হজ পালনের জন্য স্বামীর অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। যদি কোনো নারীর সফরসঙ্গী হিসেবে মাহরাম থাকে তাহলে স্বামীর অনুমতি ছাড়াই তিনি হজে আসতে পারেন। তবে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে তাকে সম্মত করে হজ পালনে আসা উত্তম।
বর্তমানে প্রচুর নারী হজ পালনে আসেন। সৌদি আরবের পরিসংখ্যান অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি হজ মৌসুমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজির সংখ্যা ১৭ লাখ ৫২ হাজার ১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৪ হাজার ৩৬৯ জন, আর নারী হাজির সংখ্যা ৮ লাখ ১১ হাজার ৬৪৫ জন।
এছাড়া স্থানীয় হাজির সংখ্যা সর্বমোট ৬ লাখ ১০৮ জন। এর মধ্যে শুধু সৌদি আরবের নাগরিক হলেন ২ লাখ ৯ হাজার ৪১৫ জন, আর সৌদি আরবের প্রবাসী নাগরিক ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৯৩ জন।
স্থানীয় হাজিদের মধ্যে পুরুষ হাজি ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৮৬ জন, নারী হাজির সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ১২২ জন।
এসব মিলে চলতি বছর সর্বমোট হাজির সংখ্যা ২৩ লাখ ৫২ হাজার ১২২ জন। এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে মোট নারী হাজির সংখ্যা ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬৭ জন।
সৌদি সরকারও নারী হাজিদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
মসজিদে হারামে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য নারীদের গেট আলাদা করে দিয়েছে। তাদের নামাজের স্থানও আলাদা। মসজিদে হারামজুড়ে একটু পরপর নারীদের নামাজের জায়গা। এছাড়া নারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া ও সহযোগিতার জন্য আলাদা নারী পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে।
নারীরা কাবা চত্বর থেকে শুরু করে মসজিদের হারামের দ্বিতীয়তলা, তৃতীয়তলা এমনকি মসজিদে হারামের ছাদেও পুরুষদের পাশাপাশি তাওয়াফ করতে পারেন। তাওয়াফের ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। শুধু নামাজের স্থানটি আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
এমএইউ/জেডএস