বোর্ডের চেয়ারম্যান ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক পীরে কামেল আল্লামা মুফতি রুহুল আমীনের নির্দেশে খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের ত্রাণ কমিটির সদস্যরা ২৬ সেপ্টেম্বর বিপুল পরিমাণ ত্রাণ নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ পৌঁছান।
সেখানে মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করেন।
মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি কুতুবপালং, থ্যাংকখালি, বালুখালি ও পলংখালি ক্যাম্পে ৫টি মসজিদ, ৩টি মক্তব, শতাধিক স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ করেন।
নির্মিত মসজিদগুলোর নামকরণ করা হয়েছে মোজাহেদে আজম আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী সদর সাহেব (রহ.)-এর নামে। তিনি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত ধর্মীয় পণ্ডিত ও দিকপাল আলেম হিসেবে সর্বমহলে স্বীকৃত।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করা হয়, সোলার বিদ্যুৎ প্যানেল, ক্যাম্পের জন্য তাঁবু, নগদ অর্থ, শুকনো খাবার, পানি ও বিধবাদের জন্য সেলাই মেশিন।
গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের ত্রাণ কমিটির সদস্যরা টেকনাফের নাফ নদী পার হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিল পারাপারের জন্য শাহপরীর দ্বীপ প্রান্তে এবং নয়াপাড়া প্রান্তে আলাদা দু’টি বাঁশের সাঁকোও নির্মাণ করে দেন।
টানা সাত দিন টেকনাফে অবস্থান করে বিভিন্ন ক্যাম্পে আসা নতুন রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ পিকাপ ভ্যান ও সিএনজির সেবা দেওয়া হয়।
প্রায় ৬০ লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কাজে ছিলেন, মুফতি ওসামা আমীন, মুফতি হুজায়ফা আমীন, মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা শিহাবুদ্দীন, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা ঝিনাত আলী, মুফতি মোস্তাফা কাসেম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মুফতি মুঈনুদ্দীন, মুফতি ইমরান হোসেন, মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান, মুফতি মুফিজুর রহমান, মাওলানা আবদুল কাদের, আবিদ শেখ, মাওলানা আবুল ফাতাহ, মাওলানা নুরুল আলম, মুফতি মনিরুল ইসলাম, মুফতি শহিদুল ইসলাম, মাওলানা হাদিউজ্জামান, মুফতি মাকসুদুল হক ও মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম।
উল্লেখ্য যে, মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা, সরকারের বিভিন্ন দফতরের পাশাপাশি আলেম-উলামারা ব্যাপকহারে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ৯ অক্টোবর, ২০১৭
এমএইউ/