ফলে জাহেলি সমাজের নেতৃবৃন্দ স্বীকার করতো, যে পদ্ধতিতে রাসূলে কারিম (সা.) কোরআন বর্ণনা করেন; তা মানুষের ভাষাভঙ্গি নয়। এ কারণে যে বা যারা কোরআন পড়ে এবং শোনে তাদের সবাই ওই ভাষাভঙ্গির বিস্ময়করতা অনুভব করেন।
তবে কোরআনের অসাধারণ শৈল্পিক এবং বিস্ময়কর ছন্দময়তাকে ব্যাখ্যা করার শক্তি-সামর্থ্য তাদের অনেকেরই ছিলো না। কেননা কোরআনে কারিমের যে শৈল্পিক চিত্র আঁকা হয়েছে, তার একটা বিশেষ সাঙ্গিতিক ও ছন্দোবন্ধ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
সেই বৈশিষ্ট্যের আলোকে কোরআন বিস্ময়করভাবে পাঠকদেরকে অনুপ্রাণিত করে, প্রভাবিত করে। হৃদয়ের খোরাক জোগায়, মনে প্রশান্তি আনয়ন করে। এরই আলোকে কোরআন নাজিলের শুরুলগ্ল থেকে আজ অবধি মানুষ কোরআন তেলাওয়াত করছেন, মুখস্থ করছেন, কোরআন নিয়ে গবেষণা করছেন। তাই তো আমরা দেখতে পাই বিশ্বের বুকে নানা বয়েসি হাজার হাজার কোরআনের হাফেজ, কোরআনের গবেষক ও কোরআনপ্রেমী মানুষ।
সম্প্রতি এমনই এক কোরআনপ্রেমী কিশোরের সন্ধান পাওয়া গেছে। যে এক মজলিশে পুরো কোরআন তেলাওয়াত করতে সক্ষম হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্রের নাম জর্দান। সেই জর্ডানের তাফিলা প্রদেশের কিশোর হাফেজে কোরআন ইবরাহিম ইবনে ফৌজি আক্কাইয়া এক বৈঠকে, এক মজলিশে বসে পুরো কোরআন তেলাওয়াত করে উপস্থিত দর্শকদের মাঝে বিস্ময়ের জন্য দিয়েছেন।
১৫ বছর বয়সী পবিত্র কোরআনের হাফেজ ইবরাহিমের সাবলীল তেলাওয়াত শুনে উপস্থিত দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে।
দেশটিতে ইবরাহিমের মতো অল্প বয়সী কোরআনের হাফেজের খুব কম।
তবে যেসব শিশু কোরআন তেলাওয়াত ও কোরআন হেফজ করতে ইচ্ছুক, ইবরাহিমের সাধনা হতে পারে তাদের জন্য আদর্শ।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
এমএইউ/