প্রতি বছরই হজ নিয়ে কিছু অব্যবস্থাপনা হয়, আগামীতে যারাই হজ নিয়ে অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
বুধবার নিউ ইস্কাটনস্থ বিয়াম মিলনায়তনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে হজ ব্যবস্থাপনা শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি ও ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সৌদি-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান বজলুল হক হারুন এমপি।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব (হজ) মো. হাফিজ উদ্দিন। আরও বক্তব্য রাখেন ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান আউয়াল এমপি ও হাবের মহাসচিব মো. শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
আরও উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ফারুক, ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য দিলারা বেগম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আবদুল্লাহ, ধর্ম মন্ত্রীর পিএস ড. আবুল কালাম আজাদ, উপ-সচিব (হজ) শরাফত জামান ও ধর্ম মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু সাঈদ।
কর্মশালায় বিশেষ আমন্ত্রণে কাউন্সেলর হজ (জেদ্দা) মো. মাকসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ দিন পর আমরা হজ ব্যবস্থাপনা সর্ম্পকিত কর্মশালার মাধ্যমে অনেক কিছু অবগত হতে পারবো। তিনি বলেন, সবার মতামতের ভিত্তিতে ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে আগামী হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, গত হজে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর অসহযোগিতার দরুণ বহু হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। আগামী হজ মৌসুমে আগে থেকেই হাবের সহযোগিতায় হজ ফ্লাইট সিডিউল করা হবে যাতে কোনো হজ ফ্লাইট আর খালি না যায়। বিমান মন্ত্রী সৌদি-বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তির প্রতিনিধি দলে বিমানের একজন কর্মকর্তাকে অর্ন্তভুক্ত করার অনুরোধ জানান।
ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নিদের্শনায় সুষ্ঠুভাবে হজ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, আগামী হজও সবার সহয়োগিতায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে- ইনশাআল্লাহ।
হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, গত হজে অব্যবস্থাপনার প্রধান কারণ হচ্ছে, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জুলাই মাসে মুয়াল্লেম ফির টাকা ফেরত দেওয়া। এতে এজেন্সিগুলো মক্কা-মদিনায় সময়মতো বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি। এ জন্য বিমানের ২৬টি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, হজ চলাকালে সৌদি মুয়াল্লিম বাংলাদেশি বেসরকারি হাজিদের গাড়ী দেয়নি। এতে হাজিরা অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। ফলে অনেক এজেন্সির মালিক নানা দুর্নামের শিকার হয়েছেন।
হাব মহাসচিব তসলিম বলেন, ২০১৭ সালের হজে বহু চ্যালেঞ্জের পরেও হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। আগামী হজও সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সফল হবে- ইনশাআল্লাহ।
কর্মশালায় হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থা, হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(হাব) ও আটাবের প্রায় দেড় শ’ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এমএইউ/