রোববার (২৬ নভেম্বর) জোহরের নামাজের পর চরমোনাই পীর সৈয়দ মো. রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে মাহফিল শুরু হয়।
পীর সাহেব চরমোনাই তার বয়ানে বলেন, দুনিয়ার জীবনের সব কাজ, আয়-রোজগার ও মাহফিল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করতে হবে।
পীর সাহেবের বয়ানের আগে ও জোহরের নামাজ আদায়ের পর বিশ্বজয়ী হাফেজ তরীকুল ইসলামের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়।
তিন দিনব্যাপী মাহফিলে প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর পীর সাহেব ও তার ভাই মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম (পীরে কামেল চরমোনাই)-এর বয়ান ছাড়াও দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম বয়ান পেশ করবেন।
ওলামায়ে কেরামের মধ্যে রয়েছেন মাওলানা মোবারক করীম, প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মুফতি সৈয়দ এছহাক মো. আবুল খায়ের, মরহুম পীর সাহেবের খলিফা মাওলানা আব্দুর রশিদ (পীর সাহেব বরগুনা), আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী (পীর সাহেব কারীমপুর), অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ (পীর সাহেব খুলনা) উল্লেখযোগ্য।
মাহফিল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মুসল্লিদের অবস্থানের জন্য ২টি মাঠে (১ ও ৩নং) সামিয়ানা টানানো হয়েছে। মাহফিলের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ-র্যাব ছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। নিজস্ব প্রায় ১০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে সবকটি মাঠের নিরাপত্তা মনিটরিং করা হচ্ছে। হাজারো মাইকের মাধ্যমে সব মাঠে বয়ান শোনার ব্যবস্থা রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাই ভোল্টেজ অটো জেনারেটর রয়েছে। মুসল্লিদের খাবার পানি ও ওজু-গোসলের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে সবকটি মাঠে। মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে একটি হাসপাতাল রয়েছে।
দেশের মুসল্লিদের পাশাপাশি মাহফিলে দেশ-বিদেশের আলেম-ওলামা ও বিশিষ্ট মেহমানদের জন্য রয়েছে আলাদা মেহমানখানা।
দেশ-বিদেশ থেকে ঘরে বসে যাতে সবাই মাহফিলের ভিডিওসহ বয়ান শুনতে পারেন সেজন্য www.charmonaivs.net/live ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে মাহফিল।
তিন দিনব্যাপী মাহফিলে নিয়মিত বয়ান ছাড়াও দ্বিতীয় দিন বেলা ১১টায় ওলামা ও সুধী সম্মেলন এবং তৃতীয় দিন বেলা ১১টায় ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এমএস/এমজেএফ