ইঙ্গুশেতিয়া প্রজাতন্ত্রের মুসলিম সংস্থার প্রধান হলেন মুফতি ইসা হাজি হামহোয়েভ। ২০১৬ সালে এই প্রজাতন্ত্রের এক হাফেজে কোরআন জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হেফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন।
উত্তর ককেশাসের এই প্রজাতন্ত্র থেকে প্রতিবছর প্রায় দেঢ় হাজার মুসলমান হজপালনের জন্য সৌদি আরব যান। যদিও আরও বেশি সংখ্যক মুসলমান হজপালনে যেতে চান। কিন্তু কোটা পদ্ধতির জন্য পারেন না।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই প্রজাতন্ত্রের মোট জনসংখ্যা ৮ লাখেরও কম। গেল বছরের শুরুতে ইঙ্গুশেতিয়ার রাজধানী মাগাসের বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা পেয়েছে। এটা স্থানীয় মুসলমানদের জন্যে শুভ সংবাদ।
ইঙ্গুশেতিয়ায় বেশকিছু মাদরাসা রয়েছে। এসব মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবছর আরবিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ইঙ্গুশেতিয়ার ধর্মীয় নেতারা রাশিয়ার মূলধারার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে অনেক কাজে অংশ নিয়ে থাকেন। দাওয়াতে তাবলিগের কাজ চলে দেশটিতে।
সেই ইঙ্গুশেতিয়ায় শেষ বয়সে পবিত্র কোরআন শেখার ইচ্ছা পুরণ হলো এক বৃদ্ধের।
১শ’ বছর বয়সী এফাজ আলিয়ফভ নামের ওই বৃদ্ধ জীবনের শেষভাগে এসে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শেখেন। অবাক করার মতো বিষয হলো- কিছু দিন আগে তার চোখের অপারশেন করা হয়েছে। অপারেশনের আগ পর্যন্ত তিনি দৃষ্টিহীন ছিলেন।
৮ সন্তান এবং ৩৫ জন নাতি-নাতনি রয়েছে তার। বেশ কয়েকটি ফল বাগানের মালিক এই বৃদ্ধ এখনও নিয়মিত নিজের বাগানের পরিচর্যা নিজেই করেন।
তিনি কখনও ইঙ্গুশেতিয়ার বাইরে যাননি। সুস্থ জীবনের অধিকারী এই বৃদ্ধ জীবনে কখনও ধূমপান করেননি। তিনি নিয়ম করে নিজের খামারের উৎপাদিত ফল-মূল এবং শাক-সবজি খান। পান করেন ঝরনার পানি। তাইতো শত বছরেও তিনি বেশ সুস্থ। শেষ জীবনে এসে কোরআন তেলাওয়াত শিখতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছেন।
তিনি বলেন, আমি সর্বদা কঠিন কাজ করি এবং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- আমার পরিবারকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। আমি পরিবারের পেছনে সময় দিতে দিতে ভুলেই গেছিলাম আমার কিছু চাওয়ার কথা। অবশেষে আমি আমার একান্ত চাওয়া কোরআন শেখার ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে ভীষণ খুশি।
এফাজ আলিয়ফভ এখন নিয়ম করে প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করেন। তার ইচ্ছা, যতদিন বেঁচে থাকবেন, কোরআন তেলাওয়াত আর ছাড়বেন না।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এমএইউ/