ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

কেউ কারও বোঝা বহন করবে না

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৮
কেউ কারও বোঝা বহন করবে না প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে

ইসলাম সাধারণভাবে সব মানুষকে কর্তব্যপরায়ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সবার জন্য অর্পিত কর্তব্য পালন আবশ্যিক করেছে এবং এ ক্ষেত্রে যে কোনো অবহেলাকে আল্লাহতায়ালার নিকট জবাবদিহিতার বিষয় বলে সতর্ক করেছে।

এ প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব, ইমাম কিংবা দলনেতা যে বিষয়ের দায়িত্বশীল তিনি তার অধীনদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন।

যে তার পরিবারের সদস্যদের দায়িত্বশীল, সে তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন। নারী দায়িত্বশীল তার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের ও সন্তান-সন্ততির বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন। দাস তার মনিবের সম্পদের দায়িত্বশীল এবং সে এই সম্পদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। কাজেই সতর্ক হও! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে (পরকালে আল্লাহর নিকট) জিজ্ঞাসিত হবে। ’ –সহিহ বোখারি

ইসলাম একান্তভাবে মানুষকে এ শিক্ষা দিয়েছে, কেউ কারও বোঝা বহন করবে না।  

আল্লাহতায়ালা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যারা সরল-সঠিক পথে পরিচালিত হবে নিশ্চয়ই তারা তাদের নিজেদের কল্যাণের জন্যই সঠিক পথে পরিচালিত হবে। আর যারা ভ্রান্ত পথে পরিচালিত হবে তারা ভ্রান্ত পথে পরিচালিত হবে তাদের নিজেদের ধ্বংসের জন্যই। কেউ কারও কাজের দায় বহন করবে না। আর আমি রাসূল পাঠিয়ে সতর্ক করা ছাড়া কাউকে শাস্তি দেই না। ’ -সূরা বনি ইসরাইল: ১৫

ইসলামের এ নীতি একান্তভাবে দায়িত্ব সচেতন করে এবং দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করে। এ নীতি মানুষকে এমনভাবে ভাবতে শেখায় যে, কেউ অন্য কারও কবরে যাবে না। কেউ অন্য কারও কাজের জবাবদিহিতা করবে না। সাধারণভাবে কেউ অন্য কারও কাজের সুফল বা দায় ভোগ করবে না।

বরং প্রত্যেককে নিজ নিজ কাজের সুফল বা কুফল ভোগ করতে হবে। এ শিক্ষার ফলে মানুষ নিজেকে দায়িত্বশীল, কর্তব্যপরায়ণ হিসেবে গড়ে তোলে। এটি তার ব্যক্তিসত্তার উন্নতি বিধান করে।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।