অন্য বছরের মতো এবারও মোট হজযাত্রী শতকরা ৫০ ভাগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিডেট এবং শতকরা ৫০ ভাগ সাউদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স বহন করবে।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি সৌদ আরবের মক্কায় এ হজ চুক্তি সম্পাদিত হয়।
রোববার (২১ জানুয়ারি) ধর্মমন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, এ বছর সৌদি সরকার সব ধরনের ক্রয় ও সেবার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করেছে যা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। আবাসন, খাদ্য ও পরিবহনের উপর এর প্রভাব পড়বে। তবে সৌদি সরকার আরোপিত ভ্যাটের প্রভাব যাতে হজ যাত্রীদের উপর আর্থিক প্রভাব সৃষ্টি না করে সে বিষয়ে বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচেষ্ট থাকবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়র হজ এজেন্সিসমূহকে হজযাত্রীদের প্রতি আরও যত্নবান ও দায়িত্বশীল হতে অনুরোধ করবো। হজযাত্রীদের প্রতি কোনো ধরনের অবহেলা ও প্রতারণা আমরা সহ্য করবো না। অন্যায়কারী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে আমরা সৌদি সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন তারা বিবেচনা করবেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, হজ এজেন্সিগুলোর অনিয়মের তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে অনিয়মের গুরুত্ব বিবেচনায় যার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা নেওয়া হবে। তদন্ত চলাকালে এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারবো না।
জাহাজে হজ যাত্রী পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এটা প্রস্তাব করেছি। কিন্তু সৌদি আরব রাজি হচ্ছে না। হজে পাঠানোর ব্যবস্থা হলে খরচ কমবে পরিবহন চাপও কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮/ আপডেট: ১৩৫৮
এসকে/এএটি