বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। তবে প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে, এটা সবার জন্য ওয়াজিব নয়।
অন্ধকার হতে আলোর দিকে, অজ্ঞতা হতে জ্ঞানের দিকে, মন্দ থেকে ভালোর দিকে মানুষকে আহ্বান করা জরুরি বিষয়। পাশাপাশি মন্দ কাজ দেখলে তা প্রতিহত করা ঈমানের দাবি।
হাদিসের ভাষায়, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ দেখবে, সে তা নিজ হাত দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি সে সক্ষম না হয়, তবে তার জিহ্বা দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি সে সক্ষম না হয়, তবে অন্তর দ্বারা প্রতিহত করার চিন্তা ও পরিকল্পনা করবে। আর এটাই ঈমানের দুর্বল স্তর। ’ –সহিহ মুসলি
বর্ণিত আয়াত ও হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করা নৈতিক দায়িত্ব। তবে আহ্বানকারীদের থাকা প্রয়োজন বিশেষ কিছু গুণ।
আল্লাহর পথে আহবানকারীর যে সব গুণ থাকা বাঞ্চনীয় তন্মধ্যে আহবানকারীর আলেম তথা জ্ঞানী হওয়া। অর্থাৎ ইসলাম সম্পর্কে পুরো জ্ঞান থাকা।
প্রত্যেক কাজ যেহেতু নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। তাই আল্লাহর পথে আহবানকারীর নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়া জরুরি। লোক দেখানো, দুনিয়ার সম্মান বা উচ্চাসন পাওয়ার আশায় এ কাজ করা যাবে না।
দাওয়াতের ক্ষেত্রে কম গুরুত্বের চেয়ে অধিক গরুত্বপূর্ণ বিষয় দিয়ে আরম্ভ করা। যেমন প্রথমে তাওহিদের দিকে আহ্বান করা। পরে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদির দিকে ধীরে ধীরে আহ্বান করা।
অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছেড়ে কম গুরুত্বের বিষয় প্রাধান্য না দেওয়া। যা ছিল নবী-রাসূল এবং সাহাবি-তাবেয়িদের কাজের পদ্ধতি। কাজেই সেসব পদ্ধতিসমূহকে আমাদের অনুসরণ করা দরকার।
আল্লাহর পথে আহ্বানকারীকে ধৈর্য্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে। নবী-রাসূলরা আল্লাহর পথে আহ্বান করার ক্ষেত্রে এ শিক্ষাই দিয়ে গেছেন।
আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকা নবী-রাসূলদের কাজ। যারা মানুষকে ওই পথে ডাকে তারা মহৎ কাজের অধিকারী। এমন মানুষদের প্রশংসা করেছেন স্বয়ং আল্লাহ।
যারা মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করেন, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার। তাদেরকে আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের দিন বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করবেন। সর্বোপরি তার জন্য রয়েছে ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ।
লেখক: এমফিল গবেষক, মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এমএইউ/