এরই এক অনন্য নজির দেখল বিশ্ববাসী। সম্প্রতি খ্রিস্টান ধর্মের অবমাননার দায়ে তিন মুসলিম তরুণকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
ওই তিন তরুণ হজরত ঈসা (আ.)-এর মা হজরত মরিয়ম (আ.)-এর অবমাননা করেছিল। শাস্তিস্বরূপ মুখস্থ করার আদেশ দেওয়া সূরা আলে ইমরানে হজরত মরিয়ম (আ.) ও হজরত ঈসা (আ.)-এর সম্মান ও মর্যাদা সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে।
আদালতের বিচারক জোসেলিন মাত্তা শাস্তি প্রসঙ্গে বলেন, তিনি এই রায়ের মাধ্যমে ওই তরুণদের সহনশীলতা এবং হজরত মরিয়ম (আ.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার বিষয়ে ইসলামের শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছেন।
বিচারক বলেন, ‘আইন মানে কেবল কারাগার নয়, এটি একটি শিক্ষারও মাধ্যম। ’
বিচারক মাত্তার এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। তিনি টুইট বার্তায় বলেন, এই রায় ন্যায়বিচারের উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত এবং ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্মের মধ্যে যে সম্প্রীতির বিষয়টি রয়েছে তা শিক্ষা দেবে।
দেশটির দুর্নীতিবিরোধী প্রতিমন্ত্রী নিকোলাস তুয়েনিও রায়ের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, বিচারক মাত্তার রায় সামাজিক সমস্যা সমাধান ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা দূর করার ক্ষেত্রে অনুসরণযোগ্য।
উল্লেখ্য যে, আল্লাহতায়ালা মুসলমানদের ইসলাম অনুসরণের পাশাপাশি অমুসলিমদের ধর্ম এবং তাদের উপাস্যকে সম্মানের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহকে ছেড়ে তারা যাকে ডাকে, তাদের তোমরা গালি দিয়ো না, কেননা তারা সীমা লঙ্ঘন করে অজ্ঞানতাবশত আল্লাহকেও গালি দেবে। ’ -সূরা আনআম: ১০৮
-আল আরাবিয়া অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
এমএইউ/