সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. আবদুল মতিনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, গত চার বছরে ৯৯৯ জন হজযাত্রীর পেছনে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে ২৪৫ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখাশোনা ও হজ ব্যবস্থাপনার জরুরি দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন দলে (হজ প্রতিনিধি দল, হজ প্রশাসনিক দল, হজ কারিগরি দল এবং হজ চিকিৎসক কারিগরি দল) অন্তর্ভুক্ত হয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর, বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাদের পেছনে ওই অর্থ ব্যয় হয়।
ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সরকারি খরচে কোনো হজযাত্রী পাঠানো হয়নি। মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে সরকারি খরচে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হজে পাঠানো হচ্ছে।
‘এ হিসেবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১২৫ জনের পেছনে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ৩৬ লাখ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৬৬ জনের পেছনে ২৯ কোটি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৮৮ জনের পেছনে সাড়ে ২৯ কোটি এবং ২০১৮ অর্থবছরে ৩২০ জনের পেছনে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে সাড়ে ৩৩ কোটিসহ মোট ২৪৫ কোটি টাকা।
সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য মো. আবদুল মতিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী জানান, সারাদেশে মসজিদের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার ৩৯৯টি।
মন্ত্রী বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি অর্থবছরে নির্ধারিত আবেদন ফরমের ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দ থাকা সাপেক্ষে মসজিদের অনুদান মঞ্জুর করা হয়। এর অংশ হিসেবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫ হাজার ৩৫৬টির অনুকূলে ১১ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ হাজার ৩৯৯ মসজিদের জন্য ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
তবে দেশের সব মসজিদে সরকারি অনুদান সমানভাবে পৌঁছানোর কোনো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নেই।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
এমএইউ/