গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে কুয়েত যাওয়ার টিকেট লাভ করেন।
হাফেজ ত্বরিকুল ইসলামের সঙ্গে রয়েছেন তার উস্তাদ হাফেজ কারি নেছার আহমাদ আন নাছিরী।
কুয়েতের কুয়েতের আওকাফ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত নবম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৭৯টি দেশের ১৩৮জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। তন্মধ্যে তাজবিদ সহকারে সম্পূর্ণ কোরআন হেফজ বিভাগে ৭২ জন, সম্পূর্ণ কোরআন হেফজ বিভাগে ১৯ জন এবং তেলাওয়াত ও তারতিল বিভাগে ৩৯ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।
দেশটির শেরাটন হোটেলে ‘কুয়েত অ্যাওয়ার্ড’ নামে পরিচিত এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন কুয়েতের আমির জাবের আল মোবারক আল হামেদ আল সাবাহ।
প্রতিযোগিতার প্রতিটি বিভাগে শীর্ষ স্থান লাভকারীকে ১ লাখ ৩০ হাজার কুয়েতি দিনার দেওয়া হবে পুরস্কার হিসেবে।
কোরআনে কারিমের প্রচার, ইসলামি শিক্ষার সম্প্রসারণ, কোরআন হেফজের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর উদ্দেশে কুয়েত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার মালিগাঁওয়ের বাসিন্দা হাফেজ ত্বরিকুল ইসলামের বাবার নাম মো. আবু বকর সিদ্দীক। মাতা তহুরা বেগম একজন গৃহিণী।
২০০৪ সালের ১ জুন জন্ম নেওয়া হাফেজ ত্বরিকুল নিজ এলাকার শামসুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসায় পড়ালেখা শুরু করেন।
এর পর ২০১০ সালে চাঁদপুরের কচুয়ার নুরে মদিনা তাহফিজুল কোরআন মাদরাসায় কোরআন হেফজ করা শুরু করেন।
মাত্র ৩ বছরে তিনি কোরআনে কারিম হেফজ করে তিনি। এর পর চলে আসেন ঢাকা। ভর্তি হন হাফেজ কারি নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিত যাত্রাবাড়ীস্থ মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায়।
২০১৪ সালে মাছারাঙা টেলিভিশন আয়োজিত রিয়েলিটি শো’তে ২য় স্থান অজর্ন করেন তিনি।
২০১৭ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ১০৩ দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। দুবাইয়ের শাসক শেখ আহমাদ বিন রাশেদ আল মাখতুম তাকে নগদ অর্থ (বাংলাদেশি টাকায় ৬০ লাখ) ও আন্তর্জাতিক সনদ প্রদান করেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এমএইউ/