ঈদুল-আজহা উদযাপনের জন্য সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণে বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদুল-আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সভায়। ঈদের দিনগত রাতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবন ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারাদেশে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসরকারি সংস্থার প্রধানরা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন করে ঈদুল-আজহা উদযাপন করবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমগুলো যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রগুলোয় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও এ উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোতে যথাযথভাবে ঈদ উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সংগতিশীল ডকুমেন্টারি ফিল্ম, চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব শিশু পার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লাসহ দর্শনীয় স্থানে প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোরবানির পশুর রক্ত/বর্জ্যে যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদ পূর্ববর্তী জুমার খুৎবায় এ বিষয়ে মুসল্লিদের সচেতন করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা ও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান, যুগ্মসচিব (প্রশাসন) ড. মোয়াজ্জেম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ