কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম সিটি মন্ট্রিয়ল সিটির সিল্ক রোডে এটির অবস্থান ও প্রশাসনিক কার্যালয়।
এ সংগঠনের সংস্কৃতিকর্মী ফোর্ড বলেন, এখানে প্রেম-ভালোবাসা, ধর্ম-বিশ্বাস, নতুনত্ব-আবিষ্কার, আত্মার প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং গল্পে স্থান পাওয়া একটি পরিবারের ভ্রমণগল্প ও বিবিধ কিছুর সুন্দর উপস্থাপনা রয়েছে।
এছাড়াও এখানে কাজ করে আমি আমার পরিবারকে তুলে ধরেছি ও তাদের সহযোগিতা করেছি। আমি আশা করি, এটির মাধ্যমে আমার এবং মুসলিমদের মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে।
সম্পূর্ণ অলাভজনক এ থিয়েটার কোম্পানি ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ০৬ অক্টোবর ২০১৮ তাদের প্রথম নাটক ‘দ্য ডমাস্টিক ক্রুসেডার্স’ প্রদর্শন করেছে। নাটকটি বেশ প্রশংসা ও সুনাম অর্জন করেছে। এই থিয়েটারটি মুসলিম সম্প্রদায় ও বৃহত্তর কানাডিয়ান সমাজের সঙ্গে বন্ধন এবং সংলাপ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস থিয়েটার কর্মীদের।
সিল্ক রোড ইনস্টিটিউটের বোর্ড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহিন বলেন, আমার এই কাজটি বেছে নেয়ার কারণ, এটি প্রেম, সংগ্রাম ও স্বীকৃতির সর্বজনীন থিম নিয়ে কথা বলে।
তিনি আরো বলেন, সাংস্কৃতিক শিল্প ও গল্প বলার সময় সর্বদা মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং আমাদের মানবিকতা উদযাপনের দারুণ সুযোগ ও ক্ষমতা রয়েছে। আমরা আশা করি, এই থিয়েটার কানাডার বহুমুখী মুসলিম সম্প্রদায় সম্বন্ধে আলোকপাত করবে এবং কুইবেকে মুসলিম-পরিচয় সম্পর্কে গঠনমূলক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
থিয়েটার প্রদর্শনের সহযোগী মিচেল জিন ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রামিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডাইরেক্টর ড. পিটার ফ্ল্যাগেল বলেন, দুঃখজনকভাবে, আমরা এই দেশে উল্লেখযোগ্য মুসলিমবিরোধী মানসিকতা ও অনুভূতি দেখতে পাচ্ছি। তবে আমরা দৃঢ় আস্থাশীল যে, সাংস্কৃতিক শিল্পকর্মগুলো মুসলিমদের ব্যাপারে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়া কিছু অহেতুক ও ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দেবে এবং ব্যক্তিগতভাবে অপরিচিত কারো ব্যাপারে যে ভয় কাজ করছে, তা দূর করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, এ উদ্যোগের ব্যাপারে আমরা বেশ উত্সাহ পেয়েছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, দর্শকদের কাছে মুসলিম-কেন্দ্রিক বিভিন্ন তথ্য ও বিবরণ সম্প্রদায়িকতামুক্ত এবং আরও নিরপেক্ষ ও নির্ভরযোগ্য উপায়ে উপস্থাপন করতে পারবো।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪০ জনগোষ্ঠীর শহর মন্ট্রিয়াতে মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৯.৬ ভাগ। এটি সমগ্র কানাডায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা। অন্য কোনো দেশের তুলনায় কানাডার মুসলমানরা ধর্মীয়ভাবে বৈষম্যতার শিকার কম হন। ধর্মপালনে তাদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে রয়েছে বিপুল সুযোগ ও স্বাধীনতা।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এমএমইউ/আরএ