ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ঐতিহ্যের দেশ উজবেকিস্তানে ইসলাম 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৯
ঐতিহ্যের দেশ উজবেকিস্তানে ইসলাম  উজবেকিস্তানের মসজিদ। ছবি: সংগ্রহ

উজবেকিস্তান মধ্য এশিয়ার একটি বৃহৎ প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ১৯২৪ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯১ সালের ৫ ডিসেম্বর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

রুক্ষ ও শুষ্ক দিগন্ত বিস্তৃতি মরুভূমি এবং বড় বড় পাহাড়-পর্বত আর এ দেশের বিশাল অংশ দখল করে আছে। উজবেকিস্তানে বৃষ্টিপাত তেমন একটা হয় না।

গরমকালে উত্তাপ বহু গুণে বেড়ে যায়, আর শীতের মৌসুমে শূন্যের বেশ নিচে নেমে আসে পারদ।  

সিআইএর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী উজবেকিস্তানের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রধান ধর্ম ইসলাম। মোট জনসংখ্যা ২ কোটি ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৪ (জুলাই, ২০১৭)। মুসলিম ৮৮%, ইস্টার্ন অর্থডক্স ৯ শতাংশ ও অন্যান্য ৩ শতাংশ।  উজবেকিস্তানের মসজিদ।  ছবি: সংগ্রহ

৩০ হিজরিতে হজরত ওসমান (রা.)-এর আমলে আহনাফ বিন কায়েস (রা.) এ অঞ্চলে ইসলাম-প্রচার অভিযানে আসেন এবং পারস্য বিজয়ের পর উজবেকিস্তানে মৌলিকভাবে ইসলামের আগমন হয়।

আব্বাসি যুগের খলিফা মুতাসিম বিল্লাহর শাসনামলে উজবেকিস্তানের বহু গোত্র ইসলামের ছায়াতলে আসে। উমাইয়াদের যুগে ৮৮ হিজরিতে পুরো উজবেকিস্তান মুসলমানদের অধীনে চলে আসে। মুসলিম বিশ্বের আলেকজান্ডারখ্যাত কুতাইবা ইবনে মুসলিম (র.) ছিলেন সে সাফল্যের অগ্রনায়ক। উজবেকিস্তানের মসজিদ।  ছবি: সংগ্রহ

রাষ্ট্রীয় ভাষা উজবেক হলেও মুসলমানরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরবি ও ফার্সি ভাষা ব্যবহার করে। আরবি বর্ণে একসময় উজবেক ভাষা লেখা হতো। পর ইতিহাসের চড়াই-উৎরাইয়ে তাতে পরিবর্তন আসে।

উজবেকিস্তানে প্রচুর ইসলামি ঐতিহাসিক মসজিদ, স্থাপনা ও প্রাচীন সমাধি রয়েছে। ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ইচান কালা কমপ্লেক্স (Ichan Kala Complex), বিখ্যাত বিবি খানম মসজিদ, কালটা মিনার, মহম্মদ আমিন খান মাদ্রাসা, জুমা মসজিদ, বোরগাজি খান মাদ্রাসা, ইসলাম খোজা মাদ্রাসা ও মিনার, তাসখাউনি, হারেম ও পাহাড়ের গায়ে অনেক প্রাচীন সমাধি। প্রাচীনকালে খিভার শাসকদের বাসস্থান ছিল কুনয়া অর্ক (Kunya Ark) ইত্যাদি অন্যতম। উজবেকিস্তানের মসজিদ।  ছবি: সংগ্রহ

কিছুদিন আগে প্রকাশিত বিবিসি বাংলার তথ্য মতে, পর্যটনশিল্পের মাধ্যমে উজবেকিস্তান ‘দ্বিতীয় মক্কা’ হতে চায়। দেশটির সরকার মনে করে, দেশটির শতশত ধর্মীয় স্থাপনার মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলে ধরা সম্ভব।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
এমএমইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।