পুণ্যবতী এ নারী মিশরের মিনিয়া প্রদেশের আল-তালিন গ্রামের অধিবাসী। তিনি ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।
প্রাসঙ্গিকতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার পাঁচ ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে। আমার পিতা সম্পূর্ণ কোরআনের হাফেজ ছিলেন। তিনি এডুকেশন সেক্টরে কাজ করতেন।
তিনি আরো বলেন, আমি প্রায় ৭ বছর পূর্বে কোরআন লেখার কাজ আরম্ভ করি। সম্পূর্ণ কোরআন হেফজ করার প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সময়স্বল্পতা ও আনুসাঙ্গিক বিভিন্ন কারণে পরিনি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ পারা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছি। এ জন্য আমার সবসময় খুব দুঃখবোধ কাজ করে।
কিন্তু আমাদের এলাকার একজন নারী আমাকে পবিত্র কোরআন নিজ হস্তাক্ষরে লেখার জন্য পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করে। এরপর থেকে আমি প্রতি রাতে ঘুম থেকে উঠে প্রথম ৬ দিনে এক হাজার আয়াত লিখি। এতে আমার আগ্রহ আরো বেগ পায়। তাই সম্পূর্ণ কোরআন লেখায় মনোনিবেশ করি।
গুরুত্ব ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমি মাত্র ২৫ দিনে সম্পূর্ণ কোরআন লিখে শেষ করতে পেরেছি। আমার সন্তান ঈমান ওমরার যাওয়ার সময় সঙ্গে করে একখণ্ড পাণ্ডুলিপি নিয়ে যাবে। আশা করছি, পবিত্র কোরআনের বিশেষজ্ঞরা আমার তৈরিকৃত পাণ্ডুলিপিটি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করবেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এমএমইউ