জানা গেছে, অনলাইন জগতকে পক্ষপাত মুক্ত রাখতে এবং ব্রাউজারের অপব্যবহার রোধে এটি চালু করা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তাবিষয়ক ক্ষেত্রেও এটির গঠন রীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সালামওয়েব ব্রাউজারটি মোবাইল, ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যাবে। মেসেজিং, নিউজসহ আরও বেশকিছু অ্যাপ্লিকেশন এ ব্রাউজারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মালোয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার গ্রাহকদের জন্য তৈরি করা হলেও এটিকে বৈশ্বিক রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
বিশ্বের ১০ শতাংশ মুসলিমকে টার্গেট করে তারা অগ্রসর হচ্ছেন। তবে উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হচ্ছে সালামওয়েব। শুরুতেই গুগল ও ফেসবুকের মতো কোম্পানিগুলো তাদের সমালোচনা করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও তাদের এ উদ্যোগ ভালো চোখে দেখেনি।
সালামওয়েব টেকনলোজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনি জেরিনা মাহমুদ খান জানান, ‘অসংলগ্ন’ কনটেন্টের কারণে টুইটারকে ইতিমধ্যে ‘নারীদের জন্য বিষাক্ত স্থান বা নরক’ বলে অভিহিত করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস। তাই আমরা ইন্টারনেটকে একটি উত্তম স্থান হিসেবে পরিবর্তন করতে চাই। আমরা জানি, ইন্টারনেটে ভালো-মন্দ; দুই দিকই রয়েছে। তাই আমরা সালামওয়েবে এমন একটি টুল তৈরি করেছি, যেটি দিয়ে কেবল ভালো কিছুই উপভোগ করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রাউজারটি কনটেন্ট ফিল্টারিং করবে। পর্নোগ্রাফি বা জুয়ার কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করলে গ্রাহককে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করা হবে। এছাড়াও মুসলিমদের ধর্মচর্চা সহজ করতে নামাজের সময় জানিয়ে দেওয়ার মতো বিষয়গুলোও এতে রাখা হয়েছে। আর প্রধানত মুসলিমদের টার্গেট করে আমরা ব্রাউজারটি তৈরি করলেও আমাদের লক্ষ্য হলো সর্বজনীন মূল্যবোধকে উৎসাহিত করা। তাই যেকেউ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ ইন্টারনেট দিন দিন ক্ষতিকর হয়ে উঠছে—তাই আমাদের বিকল্প কিছু করা জরুরি হয়ে পড়ছে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এমএমইউ