উত্তর: অ্যাকুরিয়ামে মাছ পুষতে শরিয়ত নিষেধ করে না। সাহাবায়ে কেরামও সৌখিনতা ও শখের বশে বিভিন্ন বৈধ প্রাণী পুষেছেন বলে বিভিন্ন কিতাবে বর্ণনা পাওয়া যায়।
আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) আমার ছোট ভাই আবু উমায়েরকে খুব পছন্দ ও স্নেহ করতেন। আমার এখনো মনে আছে, সে তখন মায়ের বুকের দুধ ছেড়েছে মাত্র—এমন শিশু। রাসুল (সা.) তার কাছে আসতেন এবং বলতেন, ‘হে আবু উমায়ের! কী করেছে তোমার নুগায়ের?’ নুগায়ের হলো এমন একটি ছোট পাখি যেটির সঙ্গে আবু উমায়ের খেলা করতো। নুগায়ের মারা যাওয়ায় সে খুব চিন্তিত ও ব্যথিত ছিল। তাই রাসুল (সা.) তার সঙ্গে খেলা করতেন। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৬২০৩)
যথাযথভাবে খাবার দিলে এবং পরিচর্যা ও যত্ন নিলে সওয়াব লাভেরও সম্ভাবনা রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, সাহাবায়ে কেরাম রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! জীবজন্তুর জন্যও কী আমাদের পুরস্কার দেওয়া হবে? রাসুল (সা.) বলেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য পুরস্কার রয়েছে। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ২৩৬৩)
আর যথাযথভাবে খাবার না দিলে এবং পরিচর্যা ও যত্ন না নিলে, অ্যাকুরিয়ামে মাছ পোষা জায়েজ হবে না। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক নারীকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে নারী বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে সেটি মারা গিয়েছিল। নারীটিকে এ কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করোনো হয়। সে যখন বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে পানাহার করাতো না এবং ছেড়েও দিত না—যাতে কীট-পতঙ্গ ধরে খাবে। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ২৩৬৫; মুসলিম, হাদিস নং : ২২৪২; দারেমি, হাদিস নং : ২৮১৪)
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এমএমইউ