ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন ও কিছু কথা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন ও কিছু কথা বাংলাদেশের শাইখুল কুররা মাওলানা ক্বারি মুহাম্মাদ ইউসুফ (রহ.)

আন্তর্জাতিক কোরআন তেলাওয়াত সংস্থার (ইক্বরা) প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে। বিশ্বে আন্তর্জাতিক ও প্রসিদ্ধ ক্বারিদের প্রতিষ্ঠিত সর্বপ্রথম সংগঠন (ইত্তেহাদুল কুররা) এটি। এটি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল আরববিশ্বের পাশাপাশি সমগ্র এশিয়ায় এবং বিশেষত উপমহাদেশে বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত ও ইলমে ক্বিরাতের ব্যাপক প্রচলন করা।

সংস্থাটির কার্যকরী সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোরআন রেসিটেশন অ্যাসোসিয়েট’ বা ‘ইক্বরা’ নামটি নির্বাচন করেন। ‘ইক্বরা’ গঠন হওয়ার পর প্রথম সভাপতি মনোনীত হন মিসরের তত্কালীন শাইখুল কুররা শাইখ মাহমুদ খলিল আল-হুসারি (রহ.) এবং মহাসচিবের দায়িত্ব নেন পাকিস্তানের ক্বারি জাহের কাসেমি (রহ.)।

তিনি ভারতের বিশ্ববিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গন দারুল উলুম দেওবন্দের পরিচালক মাওলানা ক্বারি তৈয়ব সাহেব (রহ.)-এর ভাতিজা ছিলেন। এছাড়াও কার্যকরী সদস্য মনোনীত হন মিসরের বিশ্ববিখ্যাত ও নন্দিত ক্বারি শাইখ আবদুল বাসেত মুহাম্মাদ আবদুস সামাদ (রহ), বাংলাদেশের শাইখুল কুররা মাওলানা ক্বারি মুহাম্মাদ ইউসুফ (রহ.), ইয়েমেনের উস্তাজ শাইখ মুহাম্মাদ আলী শরফুদ্দিন (রহ.) প্রমুখ।

‘ইক্বরা’ কর্তৃক আয়োজিত ১ম আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ সালের জানুয়ারিতে ২য় আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দান, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ প্রাঙ্গন, সিলেটের আলিয়া মাদরাসা ময়দান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও পেশাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ‘ইক্বরা’র কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের ইন্তেকালের কারণে সার্বিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। পরে মাওলানা ক্বারি মুহাম্মাদ ইউসুফ (রহ.) সংস্থাটির হাল ধরেন। তিনি ১৯৬৬ সালে সংগঠিত ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম সহচর ছিলেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে বাংলাদেশের প্রধান ক্বারি বা ‘শাইখুল কুররা’ নিযুক্ত করেন। স্বাধীনতার ২০ বছর পর ১৯৯১ সালে শাইখুল কুররা ক্বারি মুহাম্মাদ ইউসুফ (রহ.) নবোদ্যমে ‘ইক্বরা’র কার্যক্রম বাংলাদেশে চালু করতে সক্ষম হন।

এ সংস্থার অধীনে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও একমাত্র স্বতন্ত্র ‘ইলমে ক্বিরাতে’র প্রতিষ্ঠান ‘মাহাদুল ক্বিরাত বাংলাদেশ’ পরিচালিত হয়ে থাকে। আগামী শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম চত্বরে ইক্বরা’র আয়োজনে এবং পিএইচপি পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯তম আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে সবার সবান্ধব উপস্থিতির আমন্ত্রণ রইলো।

লেখক, আন্তর্জাতিক কোরআন তেলাওয়াত সংস্থার (ইক্বরা)’র সভাপতি।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।