আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা আল্লাহ্ যা সংযুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তা সংযুক্ত রাখে (আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে), নিজেদের প্রভুকে ভয় করে ও কঠিন হিসাবের আশংকায় থাকে। ’ (সুরা আর-রাদ, আয়াত: ২১)
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে হাদিসে কঠিন হুশিয়ারি করে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ যাবতীয় সৃষ্টিকে সৃষ্টি করলেন।
যদি মানুষ আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণ কী—তা ভেবে দেখে, তাহলে দেখ যাবে ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার তুচ্ছ স্বার্থই প্রকৃত কারণ; কেয়ামতের দিন আল্লাহ্র কাছে যার কোনো মূল্য নেই। কিংবা এর কারণ হচ্ছে—তাদের মাঝে শয়তানের প্ররোচনা। শয়তান হীন সব কারণে তাদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ তৈরি করে; যেসব কারণ ভ্রুক্ষেপ করার মত কিছু নয়।
এমন কি সম্পর্ক ছিন্ন করার যথাযথ কারণও যদি থাকে তবু শরিয়ত সম্পর্ক রক্ষা করে চলার নির্দেশ দেয়। ভুলগুলো এড়িয়ে ক্ষমা করে দেওয়া ও সহনশীল হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, ‘এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার কিছু আত্মীয় আছে আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলি; কিন্তু তারা আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করি; তারা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। আমি তাদের সাথে সহিষ্ণু আচরণ করি; তারা আমার সঙ্গে মূর্খের মত আচরণ করে। তখন নবী (সা.) বললেন: তুমি যেমনটি উল্লেখ করেছ যদি তুমি তেমন হও তাহলে তুমি যেন তাদের মুখে গরম ছাই ছুড়ে দিচ্ছ। তুমি যতক্ষণ এর উপর অটল থাকবে ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে তোমার সাথে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী থাকবে। ’ (মুসলিম, হাদিস নং : ২৫৫৮)
নবী (সা.) বলেন, ‘সম্পর্ক রক্ষাকারী সে ব্যক্তি নয়—অন্যে সম্পর্ক রক্ষা করলে যে সম্পর্ক রক্ষা করে। বরং ওই ব্যক্তি হলো সম্পর্ক রক্ষাকারী যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হলেও সে সম্পর্ক রক্ষা করে। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫৯৯১)
মোদ্দাকথা, কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করায় সম্মতি দেওয়া জায়েজ হবে না। বরং কর্তব্য হলো, তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও ভাল ব্যবহার করা। তার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করার যথাযোগ্য চেষ্টা করা।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এমএমইউ