জানা গেছে, বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে দৈনিক তাদের আশ্রয়ের যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা ০৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আশ্রয়-কার্যক্রম চালু থাকবে।
এডমন্টনের আল-রশিদ মসজিদের যোগাযোগ পরিচালক নুর আল-হিন্দি বলেন, এটি গত দশ বছরে এডমন্টনে আমরা দেখা সবচেয়ে ঠান্ডা রাত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত আমাদের সেবা-কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যতদিন তারা মসজিদের আশ্রয়ে থাকবে ততদিন তাদের শীতের কাপড়, খাবার, নাস্তা ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্র সরবরাহ করা হবে।
আল-হিন্দি আরো বলেন, মসজিদে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরো অন্য গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে ও সাহায্য করতে মসজিদ-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে কিংবা ২১১ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে। শহরে গৃহহীনদের নিয়ে সৃষ্ট সংকট কাটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হচ্ছে।
কানাডার জাতীয় জরিপ অনুযায়ী (২০১১ সালে) এডমন্টনের সাড়ে পাঁচ শতাংশ নাগরিক মুসলিম। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে শহরের বিভিন্ন ধর্মের গৃহহীনদের সহযোগিতা করে আসছেন। ২০১৬ সালেও গ্রীষ্মে ফোর্ট ম্যাকমুরের আগুন লাগলে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিলেন।
প্রসঙ্গত কানাডার প্রথম মসজিদ ‘আল-রশিদ মসজিদ’ প্রতিষ্ঠিত হয় গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে। তখনকার অল্প-কিছু সংখ্যক মুসলিমের নিজস্ব উদ্যোগে। মসজিদটি যখন নির্মাণ করা হয়, তখন কানাডায় মুসলিমের সংখ্যা মাত্র ৬৪৫ জন। এডমন্টনই তখন সর্বাধিক মুসলিম অধ্যুষিত শহর হিসেবে পরিচিত ছিল। সে সময়ে মুসলিমরা নিজেদের আকিদা-বিশ্বাস, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সভ্যতা-সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে এবং নিজেদের সন্তানদের সে অনুযায়ী গড়ে তুলতে মসজিদ নির্মাণের প্রয়োজন অনুভব করেন। অন্যদিকে তখন আবার নামাজ পড়ার জন্য আলাদা নামাজঘরেরও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সে কারণে কানাডার মুসলমানরা তখন বিখ্যাত এ মসজিদটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএমইউ